শিকল ছিঁড়ে গেছে, অবশেষে কষ্টের অবসান...

মোনালি ঠাকুর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

মা হারা হলেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর। আগেই সংকেত দিয়েছিলেন, কিন্তু অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় ছিল পরিবার। শেষ পর্যন্ত শেষরক্ষা হলো না। অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন গায়িকার গর্ভধারিণী মা। টানা ১৮ দিনের লড়াই শেষে না–ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন অভিনেতা শক্তি ঠাকুরের স্ত্রী।

আরও পড়ুন

শুক্রবার বিকেলে মাকে হারানোর খবর জানান গায়িকার বোন মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘শিকল ছিঁড়ে গেছে...অবশেষে কষ্টের অবসান...। বেলা ২টা বেজে ১০ মিনিটে মা স্থির হয়ে গেছে।’

করোনার সময় বাবা, এখন প্রয়াত হলেন মা। এখন যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়লেন মোনালি-মেহুলি। গেল এপ্রিলের শেষে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মোনালির মাকে।

মায়ের সঙ্গে মোনালি। এক্স থেকে

কাজ করছিল না কিডনি, চলছিল ডায়ালাইসিস। চার দিন আগে নেওয়া হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। তবে বুধবার চিকিৎসকেরা দিয়ে দেন শেষ জবাব, সেই খবর ইনস্টাগ্রামে সবাইকে দেন মোনালি।

পাশাপাশি বুকফাটা যন্ত্রণার কথা জানিয়ে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী গায়িকা লিখেছিলেন, ‘কীভাবে সামলাব এই পরিস্থিতি, মা? কীভাবে এই শূন্যতা, এই যন্ত্রণা দূর হবে? মনে হয় মা ক্লান্ত, কিংবা নয়। কিন্তু এটাই সময়, আর আমাকে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মায়ের লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে দেওয়ার…।’

মোনালি ঠাকুর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

এই কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়তে হয়, তা কেন শেখাওনি তুমি…অসহায় লাগছে…কী করব বুঝতেই পারছি না। মা, তুমি শান্তিতে থেকো। কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমার জীবনটা কেমনভাবে চলবে…কোথায় রয়ে গেলাম মা আমি…এবার কী করব…আমার মা, আমার শিকড়, আমার সব…।’

এর মাঝেই বৃহস্পতিবার কনসার্ট করতে বাংলাদেশেও আসেন মোনালি। পেশাদারত্বের জন্য মাকে হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে মঞ্চে পারফর্ম করেন। মাকে উৎসর্গ করেন গানও। সে জন্য মোনালির প্রশংসা করেছিলেন সবাই।