‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানটি কি অশ্লীল, মুখ খুললেন পরিচালক
‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানটি যেন ঘুম কেড়ে নিয়েছিল উপমহাদেশের হাজারো তরুণের। অলকা ইয়াগনিক আর ইলা অরুণের জাদুকরি কণ্ঠ এবং নীনা গুপ্তা আর মাধুরী দীক্ষিতের আবেদনময় উপস্থিতি যেন ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যায় গানটিকে। ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানটি ছিল ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া সুভাষ ঘাইয়ের ছবি ‘খলনায়ক’-এ। ৬ আগস্ট তিন দশক পূর্ণ করেছে ছবিটি। এ উপলক্ষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গানটি নিয়ে সে সময় তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পরিচালক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
‘খলনায়ক’ সিনেমার গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই সিনেমার গানের অ্যালবাম ছিল নব্বই দশকে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত অডিও অ্যালবামের একটি।
সিনেমার অ্যালবাম এক কোটির বেশি বিক্রি হয়। অ্যালবামের এত জনপ্রিয়তার কারণ যে ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ওই সময় গানটিকে ‘অশ্লীল’ আখ্যা দিয়ে নানা বিতর্ক হয়।
এ প্রসঙ্গে সুভাষ ঘাই বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, এটি ছিল একটি লোকগান, যেটিকে ছবিতে তিনি শৈল্পিকভাবে তুলে ধরেছেন। সুভাষ ঘাই বলেন, ‘ছবিটি নিয়ে কথা উঠলেই মনে পড়ে যে মানুষ “চোলি কে পিছে” গানটিকে অশ্লীল আখ্যা দিয়েছিল। এটা আমার জন্য বড় ধাক্কা। ছবিটি মুক্তির পর গানটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হয়েছিল।’
গানটি নিয়ে ৭৮ বছর বয়সী নির্মাতা আরও বলেন, ‘মনে আছে, তখন প্রথম সারির একটি দৈনিক পত্রিকা লিখেছিল, “গানটি ভারতীয় সিনেমার একটি ক্ল্যাসিক।” তখন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। এটা যে একটি একটি লোকসংগীত, মানুষ এখন তা বুঝতে পারবে।’
আনন্দ বকশির লেখা গানটি সুর করেছিলেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক জুটি লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল। অলকা ইয়াগনিকের কণ্ঠে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন মাধুরী এবং ইলা অরুণের কণ্ঠে ঠোঁট মেলান নীনা।
অ্যাকশন ছবিটিতে মাধুরী ছাড়া ছিলেন জ্যাকি শ্রফও এবং খলনায়কের চরিত্রে দেখা যায় সঞ্জয় দত্তকে। নানা বিতর্ক সত্ত্বেও ছবিটি বক্স অফিসে ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া সর্বোচ্চ আয় করা হিন্দি ছবির তালিকার দুইয়ে ছিল ‘খলনায়ক’।