কপালে ১৩টি সেলাই, কী হয়েছিল সালমানের নায়িকা ভাগ্যশ্রীর
দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নব্বইয়ের আলোচিত বলিউড নায়িকা ভাগ্যশ্রীর একাধিক ছবি ঘুরছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছেন সালমানের নায়িকা। কেউ একজন তাঁর কপালে ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভাগ্যশ্রীর কপালে ব্যান্ডেজ লাগানো। প্রিয় তারকাকে এমন অবস্থায় দেখে ভক্ত-অনুরাগীদের প্রশ্ন, কী হয়েছে? বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, গুরুতর আহত হয়েছেন ভাগ্যশ্রী। পিকল বল খেলতে গিয়ে কপালে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তাঁর কপালে ১৩টি সেলাই পড়েছে। তবে বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল। কয়েক দিন বিশ্রামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সক।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, ১৩ মার্চ আচমকা পিকেল বল খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ভাগ্যশ্রী। গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। ভ্রুর কাছে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আপাতত তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। অভিনেত্রীর ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সুস্থতা কামনা করে মন্তব্য করেছেন অনেকে। বলিউডজগতের সঙ্গে এখন তিনি সেইভাবে যুক্ত না থাকলেও ভাগ্যশ্রীর ভক্ত–অনুসারী যে নেহাত কম নয়, তা মন্তব্য দেখলেই স্পষ্ট। নেট–দুনিয়ায় অনেকে বলছেন, ভাগ্যশ্রীর ভাগ্য ভালো যে একটুর জন্য চোখ বেঁচে গেছে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলির এক রাজপরিবারে ভাগ্যশ্রীর জন্ম। তিন ভাই–বোনের মধ্যে তিনিই বড়। ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমায় সাবলীল অভিনয় করে দর্শকের মন জিতে নিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। এই সিনেমাই সালমানের ভাগ্য খুলে ছিল। ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ সাফল্যের পর কার্যত আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সালমান ও ভাগ্যশ্রীকে।
বলিউডকে তিনি দিয়েছেন একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন সালমান। তবে ভাগ্যশ্রী মাঝখানে বিয়ে করে সংসারী হন, বিনোদনজগৎ থেকে দূরে সরে যান। স্বামী, মেয়ে অবন্তিকা ও ছেলে অভিমন্যুকে নিয়ে ভাগ্যশ্রীর সংসারজীবন।
এই তো কিছুদিন আগেই ভাগ্যশ্রী এবং উদিত নারায়ণের সঙ্গে একটি পুরোনো ভিডিও তৈরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ‘ম্যানে পেয়ার কিয়া’ সিনেমার গানের তালে তালে অভিনয় করছেন ভাগ্যশ্রী।