বারবার প্রেমে পড়েছেন, ৫০–এ পা দিয়ে এখন একা সালমানের নায়িকা
শুরুতেই সালমান খানের সঙ্গে ছবি। সেই সময় নতুন হলেও সালমান এখন বলিউডের শীর্ষ নায়কদের একজন। কিন্তু সেই তুলনায় সিনেমায় ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারেননি অভিনেত্রী নাগমা। বরং ক্যারিয়ারজুড়েই সম্পর্ক, প্রেম নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত হয়েছেন। সেই নাগমা একাই ৫০ বসন্ত ছুঁয়ে ফেললেন। আজ ২৫ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন।
একই সঙ্গে তিনি অভিনেত্রী ও বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৯০ সালে তাঁর সিনেমার ক্যারিয়ার শুরু হয়। সেই সিনেমাটির নাম ‘বাঘী’। সিনেমাটি সেই বছর আয়ে ৭ নম্বরে চলে আসে। পরবর্তী সময় একের পর এক সিনেমায় প্রস্তাব পান। শাহরুখ, সালমান, অক্ষয় কুমার, অজয় ছাড়াও দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা গেছে তাঁকে। সিনেমায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিজীবন নিয়েও সমালোচনায় আসেন তিনি। এর মূলে ছিল প্রেম।
প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেম। সেই বাঙালি ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রেমের গুজবে বলিউড দুনিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রেম বেশি দিন টেকেনি। হঠাৎই পরে জানা যায় বিচ্ছেদ হয়েছে নাগমার। তারপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও একা থাকেননি। পরে তিনি নিজেকে গুছিয়ে আবার প্রেমে পড়েন। এবার তিনি আরেক বিবাহিত দক্ষিণী তারকা শরথ কুমারের প্রেমে পড়েন। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে প্রেমের শুরু।
এবারও তাঁদের প্রেম বেশি দূর গড়াতে পারেনি। প্রেমের বিষয় জানাজানি হওয়ার পর শরথের স্ত্রী ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। সেই পরিস্থিতিতে নাগমা এই পরকীয়ার শেষ চেয়েছেন। আবার তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু শরথ চেয়েছিল প্রেম চালিয়ে যেতে। হুমকিও দিয়েছেন এই নায়িকাকে। তখন বাধ্য হয়ে নাগমা দক্ষিণী সিনেমার ক্যারিয়ার ফেলে ভোজপুরি ফিল্ম দুনিয়ায় নাম লেখান।
নতুন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেও সেই আগের সমালোচনা মাথায় নিতে হয়। নতুন করে আলোচনায় আসে তাঁর প্রেমের খবর। এবারও বিবাহিত অভিনেতা রবি কিষাণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাগমা। এই প্রেম নিয়ে অভিনেত্রী কখনোই মুখ খোলেননি। তবে রবি কিষাণ একাধিক সাক্ষাৎকারে প্রেমের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। প্রেমের খবর যখন চরমে, তখন ঘটে আরেক কাহিনি।
প্রকাশ পায় ভোজপুরি আরেক অভিনেতা মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ডেটিং করেছেন তিনি। এই মনোজ ছিলেন রবির প্রতিদ্বন্দ্বী। এই নিয়ে একের পর এক সমালোচনা বাড়তে থাকে। ফুসতে থাকেন রবি। এসব ঘটনার প্রভাব পড়ে সিনেমায়।
এই নায়িকা অভিনয় কমিয়ে দেন। সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হতে থাকেন। একসময় তিনি সিনেমা থেকে রাজনীতির দিকে চলে যান। গত ২০ বছর আর সিনেমায় অভিনয় করেননি। ৫০–এ পা দেওয়া এই অভিনেত্রী এখন একা।
এই অভিনেত্রী শৈশব থেকেই ব্যক্তিজীবন নিয়ে টানাপোড়েনে ছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন ধনী হিন্দু পরিবারের সন্তান। মা ছিলেন মুসলিম। তাঁর মা-বাবার বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। শৈশবেই দেখেছেন মা-বাবার বিচ্ছেদ। কিন্তু মা–বাবা দুজনের সঙ্গেই সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হয়েছে তাঁকে। শৈশব ভালো না কাটায় পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছে। ১৬ বছর বয়সেই তিনি সিনেমায় নাম লেখান।