ছবি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন জাহ্নবী
রাজকুমার রাও ও জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবিটি ৩১ মে মুক্তি পাবে।
গত বুধবার শরণ শর্মা পরিচালিত এই ছবির রোমান্টিক গান ‘দেখা তেনু’ মুক্তি পেয়েছে। গান মুক্তির অনুষ্ঠানে জাহ্নবী খোলাসা করেছেন, ছবিতে ‘মিসেস মাহি’ হয়ে ওঠা প্রক্রিয়া তাঁর জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ছবির আদ্যোপান্ত জুড়ে আছে ক্রিকেট। ছবির ট্রেলারে দেখা গেছে, এটা ক্রিকেট-পাগল এক দম্পতির গল্প। ছবিতে রাজকুমার ও জাহ্নবীকে ছবিতে ব্যাট-বল হাতে ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে। ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবির গান মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজকুমার রাও, জাহ্নবী কাপুর, শরণ শর্মা।
এদিনের আসরে এই ছবিকে ঘিরে উঠে আসে নানা কথা। জাহ্নবী বলেন, ‘এই ছবির জন্য আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছি। “মিলি” ছবির প্রচারণার সময় এই ছবির জন্য ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম। প্রায় দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। শরণ (পরিচালক) এই ছবিতে কোনো ভিএফএক্স ব্যবহার করেনি। ও চেয়েছিল ক্রিকেটের দৃশ্যগুলোকে বাস্তব দেখাতে। শরণ চেয়েছিল, পর্দায় যেন আমাকে প্রকৃত ক্রিকেটারের মতো দেখতে লাগে।’
প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে জাহ্নবী আরও বলেন,‘ট্রেনিংয়ের সময় আমি অনেক চোট পেয়েছি। আমার দুই কাঁধের হাড় সরে গিয়েছিল।’এতটাই কষ্ট হয়েছিল যে জাহ্নবী মাঝেমধ্যে ভাবতেন ছবিটি ছেড়ে দেবেন।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেকবার এমন হয়েছে যখন আমার শরীর হার মেনে নিয়েছে। মনে হয়েছে, আমাকে দিয়ে আর সম্ভব নয়। কিন্তু পরিচালকের চোখেমুখে আত্মবিশ্বাস ও আবেগ দেখে সাহস পেয়েছি। অনেক সময় পরিচালকের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছি। আমাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা একটা পুরো দল হিসেবে একসঙ্গে আছি। আমার বিশ্বাস যে দর্শক ছবিটি পছন্দ করবেন।’
অনুষ্ঠানে পরিচালক শরণ শর্মা জানান যে ছবিটি নির্মাণের পেছনে অন্যতম বড় কারণ ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। জাহ্নবী ছবিটি ধোনিকে দেখাতে চান। ধোনি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘ধোনি শুধু বড় ক্রিকেটার নন, মানুষ হিসেবেও দুর্দান্ত। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।
তখন দেখেছিলাম ধোনির সঙ্গে যাঁরা যাঁরা সেলফি নিচ্ছিলেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি কথাও বলছিলেন।’জাহ্নবী আরও বলেন, ‘শুধু আমি নই, সবাই ধোনির বড় ভক্ত। আমি শুধু ধোনির ক্রিকেটের নয়, মানসিকতারও ভক্ত। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফলাফল যা-ই হোক না কেন, প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখা প্রয়োজন। এটা আমিও বিশ্বাস করি।’