দুই নায়িকা একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রীর শিরোপার মুকুট উঠেছে আলিয়া ভাট আর কৃতি শ্যাননের মাথায়। জাতীয় পুরস্কার জয়ের পরপরই আলিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আনন্দ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দুই অভিনেত্রী পরস্পরের প্রশংসা করেছেন।
আলিয়া তাঁর অভিনীত ছবি ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাড়ি’-র জন্য জাতীয় পুরস্কার জয় করেছেন। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত এই ছবিতে যৌনকর্মী ‘গাঙ্গুবাঈ’-এর চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আলিয়া। এদিকে কৃতি শ্যানন ‘মিমি’ ছবিতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
গতকাল রাতে জাতীয় পুরস্কার জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলিয়া এক পোস্ট করে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি, সব কলাকুশলী, নিজের পরিবার আর দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বলিউড নায়িকা এই পোস্টে তাঁর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে একটা ছবিতে তাঁকে গাঙ্গুবাঈয়ের লুকে দেখা যাচ্ছে।
ছবিগুলো শেয়ার করে আলিয়া লিখেছেন, ‘সঞ্জয় স্যার, পুরো টিম, আমার পরিবার, আর সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার দর্শকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই জাতীয় পুরস্কার আপনাদের সবার। কারণ, আপনাদের ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি সবকিছুর জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আশা করি, যত দিন সম্ভব, আমি আপনাদের বিনোদন দেব। গাঙ্গু (যে আলিয়া নামেও পরিচিত)’।
কৃতির উদ্দেশে আলিয়া লিখেছেন, ‘কৃতি, আমার মনে আছে, যেদিন আমি ‘মিমি’ দেখেছিলাম, সেদিন আপনাকে একটা মেসেজ লিখেছিলাম। অত্যন্ত শক্তিশালী আর সৎ পারফরম্যান্স ছিল আপনার। আমি সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম। আপনি এর প্রকৃত দাবিদার। এভাবে সারা জীবন উজ্জ্বল থাকুন।’
কৃতি শ্যানন আলিয়ার উদ্দেশে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আলিয়া, আপনাকে অভিনন্দন। আপনি এর আসলেই যোগ্য। আমি সব সময় আপনার কাজের প্রশংসা করে এসেছি। আমি খুব রোমাঞ্চিত যে আমি আপনার সঙ্গে এই বিশেষ মুহূর্ত উদ্যাপন করার সুযোগ পেলাম। আসুন, আমরা উদ্যাপন করি।’
সেরা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জয় করেছে আর মাধবনের ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবিটি। এই ছবিতে মাধবন শুধু অভিনয় করেননি, তিনি এই ছবির পরিচালকও। এদিকে সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার জয় করেছেন দক্ষিণি সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ ছবিতে ‘পুষ্পা’-র চরিত্রে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন আল্লু।