পুনম পান্ডের মৃত্যুর খবরটি সঠিক ছিল না
গতকাল শুক্রবার বলিউড অভিনেত্রী পুনম পান্ডের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে তাঁর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের পর। ওই পোস্টে বলা হয়, ক্যানসারে প্রাণ হারিয়েছেন বিটাউনের এই অভিনেত্রী। পরে তাঁর ম্যানেজারের বরাতে এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমে পুনমের মৃত্যুর খবর আসে। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তা দিয়ে পুনম জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন। মূলত জরায়ু ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় পুনম বলেন, ‘যাঁরা আমার জন্য চোখের জল ফেলেছেন, তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আপনাদের আঘাত করে একান্তভাবে দুঃখিত। আমার উদ্দেশ্য এমন একটা বিষয়ে কথা বলা, যাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন, ভাবতে বাধ্য হন। জরায়ুমুখ ক্যানসার নিয়ে কেউ কথা বলেন না।’
পুনম আরও বলেন, ‘আমি আমার মৃত্যু লুকিয়েছি, মিথ্যে বলেছি। অত্যধিক মাত্রায় সেটি প্রভাবিত করেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মানুষ জরায়ুমুখ ক্যানসার নিয়ে কথা বলছেন। বিশ্বাস করুন, এটা মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় চুপিসারে। এই রোগ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন।’
২০১৩ সালে ‘নাশা’ দিয়ে বলিউডে পুনমের অভিষেক হয়। ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতলে নগ্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পুনম পান্ডে। টেন্ডুলকার-ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে নিজের ওই অবস্থান থেকে সরে আসেন পুনম।
এরপর নিজের কিছু ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে এবং ‘নাশা’ ছবিতে খোলামেলা অভিনয়ের জন্য আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। খোলামেলা পোশাকের কারণে বারবার তাঁকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠত। তবে এসব কোনো কিছুকেই পাত্তা দিতেন না তিনি। ২০১৪ সালে গভীর রাতে মুম্বাইয়ের রাস্তায় অশালীন আচরণের অভিযোগে পুনমকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে সতর্ক করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশ্য সে সময় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন, এক্সে (সে সময় টুইটারে) তিনি লিখেছিলেন, ‘গাড়ির ভেতরে বসে আমার এক ভাইয়ের সঙ্গে গান শুনছিলাম। গাড়ির ভেতরে গান শোনা নিশ্চয়ই কোনো অশালীন আচরণ নয়। অযথাই আমাকে নিয়ে এ রকম আজেবাজে খবর রটানোর কোনো মানে হয় না।’ সাহসী এই নায়িকা নিজের ছন্দে চলতেন। তাঁকে কঙ্গনা রনৌতের রিয়েলিটি শো ‘লক আপে’ দেখা গিয়েছিল। এই শোয়ের কারণে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছিলেন তিনি।
এ ছাড়া ‘খতরো কা খিলাড়ি’-তে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী। বেশ কিছুদিন আগে মালদ্বীপের এক শুটিং বাতিল করে চর্চায় উঠে এসেছিলেন পুনম। দেশের প্রতি ভালোবাসার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পুনম বলেছিলেন, লাক্ষাদ্বীপে যেতে চান তিনি।