আমার জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছেন সুকেশ: জ্যাকুলিন

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ছবি : সংগৃহীত

‘সুকেশ বলেছিলেন, তিনি আমার অনেক বড় ভক্ত। দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে আমার কাজ করা প্রয়োজন। নিজেকে সান টিভির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ এবং বলেছিলেন, তাঁর হাতে বেশ কিছু প্রকল্প আছে। তাই দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’ সম্প্রতি জ্যাকুলিন দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি সুকেশের বিরুদ্ধে নিজের এই বয়ান রেকর্ড করেছেন।

সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিন মুঠোফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতেন। সে সময় সুকেশ ছিলেন কারাগারে। কিন্তু জ্যাকুলিন ভিডিও কলেও বুঝতে পারেননি যে সুকেশ জেল থেকে কথা বলছেন।

১ / ১৩
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

জ্যাকুলিন দাবি করেন, তাঁরা যখন ভিডিও কলে কথা বলতেন, তখন সুকেশের পেছনে পর্দা এবং সোফা দেখা যেত। এ কারণে দিনে তিন থেকে চারবার ভিডিও কলে কথা বললেও তিনি বুঝতে পারেননি যে সুকেশ জেল থেকে কথা বলছেন। ২০২১ সালের ৮ আগস্ট সুকেশের সঙ্গে শেষবার মুঠোফোনে কথা হয়েছিল বলে জানান এই অভিনেত্রী।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ছবি : সংগৃহীত

সুকেশ চন্দ্রশেখর ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলার প্রধান আসামি। সম্প্রতি এই মামলায় জ্যাকুলিনকে আদালতে তোলা হলে তিনি জানান, সুকেশ তাঁকে ধোঁকা দিয়েছেন। তাঁর আবেগ নিয়ে খেলেছেন। তাঁর জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছেন, এমনকি তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই বলিউড নায়িকা আরও জানান, পিঙ্কি ইরানির মাধ্যমে সুকেশের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সুকেশের পরিচয়ে পিঙ্কি ইরানি জ্যাকুলিনকে জানিয়েছিলেন যে সুকেশ সরকারি কর্মকতা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছেন। আর জয়ললিতা (তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী) সুকেশের মাসি।

সুকেশ ও জ্যাকুলিনের ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল
ছবি : সংগৃহীত
আরও পড়ুন

কিন্তু প্রতিটি তথ্যই ছিল মিথ্যা। পরবর্তী সময়ে জ্যাকুলিন জানতে পারেন, সুকেশ একজন প্রতারক। এই মামলায় জড়িত থাকার জেরে এই অভিনেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ কারণে তিনি দেশের বাইরে যেতেও পারছেন না। এখন ২৭ জানুয়ারির পর দুবাই যাওয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছেন তিনি। ২৫ জানুয়ারি আদালত জানাবেন, অনুমতি দেবেন কি দেবেন না। গত বছর অসুস্থ মাকে দেখতে বাহরাইনে যাওয়ার অনুমতি চাইলেও তখন আদালত তাঁকে অনুমতি দেননি।

আরও পড়ুন
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ছবি : সংগৃহীত

উল্লিখিত মামলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। তিনি পাতিয়ালা আদালতকে জানান, সুকেশের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে পিঙ্কি ইরানি যোগাযোগ করেন এবং তাঁকে গাড়ি, বাড়িসহ বিলাসবহুল জীবন দিতে চান। তবে এ জন্য নোরাকে দিয়েছিলেন সুকেশের প্রেমিকা হওয়ার শর্ত। প্রেমিকা হলে সুকেশ তাঁকে বিলাসবহুল জীবন উপহার দেবেন। যদিও নোরার বিরুদ্ধে সুকেশের কাছ থেকে দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে নোরা বলছেন, সুকেশকে তিনি চেনেন না। তিনি শুধু এই চক্রের শিকার।

আরও পড়ুন