সেই ছবি বদলে দিয়েছে ভূমিকে
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ভূমি পেড়নেকর অভিনীত ছবি ‘ভক্ষক’। এই ছবির প্রচারে এসে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন অভিষেক চৌবের ‘সোনচিড়িয়া’ তাঁকে কতটা প্রভাবিত করেছে।
রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ‘ভক্ষক’ ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। ক্রাইম-ড্রামাধর্মী এ ছবি বিহারের পাটনার এক সত্য ঘটনার আধারে নির্মাণ করা হয়েছে। ছবিতে ভূমির অভিনয়ের প্রশংসায় সবাই পঞ্চমুখ। পুলকিত পরিচালিত এ ছবিটিতে তাঁকে সাহসী সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা গেছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভূমি প্রথম আলোকে, ‘সংবাদমাধ্যম আমাদের গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম বড় হাত হলো সংবাদমাধ্যম। সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অন্যায় সম্পর্কে জানতাম। সব সময় চেষ্টা করেছি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে।
ভক্ষক নির্বাচনের বড় কারণ, এই ছবির মাধ্যমে আমি সমাজের কাছে বিশেষ এক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আজকাল মানুষ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। অন্যের কথা ভাবার অবকাশ নেই। কোনো কিছু ঘটলে এখন মানুষ সাহায্য করার বদলে ভিডিও করতে ব্যস্ত। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভুলে গেছি। অন্যকে অত্যাচারিত হতে দেখেও মানুষ চুপ করে বসে থাকেন।’
একজন অভিনেত্রী হিসেবে কোনো ছবির সঙ্গে যুক্ত হলে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন বলে জানালেন ভূমি। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝে পারি না একজন অভিনয়শিল্পী কীভাবে “সুইচ অন”, “সুইচ অফ” করতে পারেন। আমি তো একেবারেই ছবি ও অভিনীত চরিত্র থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারি না।
আমিও ছবির অংশ হয়ে উঠি। নিজের চরিত্র থেকে বের হতে আমার বেশ সময় লাগে। যেমন বলতে পারি “সোনচিড়িয়া” সিনেমার চরিত্র থেকে বের হতে অনেক সময় লেগেছিল। আগে আমি মানুষ হিসেবে স্বার্থপর ছিলাম। শুধু নিজের কথা ভাবতাম। কিন্তু এ ছবির এক শিশু আমাকে অনেকটা বদলে দিয়েছে। শিশুরা অনেক সংবেদনশীল। একটা মৌমাছিকে মেরে তাদের চোখ জলে ভরে যায়।’
‘সোনচিড়িয়া’ ছবির সেই শিশুশিল্পী ভূমির জীবনকে কীভাবে বদলে দিয়েছে তা নিজের মুখেই শোনান অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, ‘চম্বলে ছবির শুটিং চলাকালীন আমি সেখানকার এক আশ্রম দত্তক নিয়েছিলাম। শিশুশিল্পীটা ওই আশ্রমেই থাকে। ২০১৭ সাল থেকে আমি ওই আশ্রমটার জন্য কাজ করছি। একইভাবে “ভক্ষক” সিনেমা আর এই ছবির শিশুরা আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।’