ছয় রুপি ভাড়ায় ফুটপাতে ঘুমাতেন এই প্রখ্যাত নির্মাতা
বলিউডের অন্যতম সেরা নির্মাতা মনে করা হয় তাঁকে। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ‘দেব-ডি’, ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এর মতো সিনেমার নির্মাতা তিনি। যাঁর ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে চিঠি লিখেছেন মার্টিন স্করসেজি স্বয়ং। সেই অনুরাগ কাশ্যপকে কিনা একসময় থাকতে হয়েছে মুম্বাইয়ের ফুটপাতে! সম্প্রতি নিজের নতুন ছবির প্রচারে ঘটনা জানিয়েছেন পরিচালক নিজেই।
সম্প্রতি ম্যাশবেল ইন্ডিয়ার ‘দ্য বম্বে জার্নি’ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। ইউটিউবে প্রচার হওয়া শোটিতে পরিচালক কথা বলেন মুম্বাই শহরে তাঁর সংগ্রামের দিনগুলো নিয়ে। স্মৃতির সারণি বেয়ে ফিরে যান তিন দশক আগে, মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে হিমশিম অবস্থা তাঁর।
জুহু সিগন্যালের মাঝখানে তখন একটা বাগানের মতো ছিল, কোনো সিগন্যাল ছিল না। আমরা সেখানে ঘুমাতাম। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমাদের বের করে দেওয়া হতো। সরিয়ে দিলে ভারসোভা লিংক রোডে চলে যেতাম
অনুরাগ কাশ্যপ জানান মুম্বাইতে তিনি ৩০ বছর ধরে আছেন, শহরের প্রতিটি কোণ, রাস্তায় তাঁর গল্প আছে। কোথাও থাকার জায়গা ছিল না বলে তিনি ফুটপাতে শুয়েও ঘুমিয়েছেন।
পরিচালক বলেন, ‘জুহু সিগন্যালের মাঝখানে তখন একটা বাগানের মতো ছিল, কোনো সিগন্যাল ছিল না। আমরা সেখানে ঘুমাতাম। কিন্তু মাঝেমধ্যে আমাদের বের করে দেওয়া হতো। সরিয়ে দিলে ভারসোভা লিংক রোডে চলে যেতাম। ওখানে চওড়া ফুটপাত ছিল; সবাই লাইন দিয়ে ঘুমাত। কিন্তু ওখানে শোয়ার জন্য ছয় রুপি করে দিতে হতো।’
মুম্বাইয়ের রাস্তা তাঁর অনেক কঠিন সময়ের সাক্ষী। তাঁর দ্বিতীয় সিনেমা মুক্তির আগে তেমনই এক ঘটনা ঘটে। সেই স্মৃতি মনে করে অনুরাগ বলেন, ‘“পাঁচ” মুক্তির আগের দিন একটা ঘরে বন্দী করে মদ খেয়েছিলাম। নেশার জন্য আরতি (প্রাক্তন স্ত্রী) ঘর থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়েছিল। তখন মেয়ের বয়স মাত্র চার বছর। ওই সময়টা আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল। বিষণ্নতায় ডুবে যাই।’
অনুরাগ এখন ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি ‘অলমোস্ট পেয়ার উইথ ডিজে মোহাব্বত’-এর প্রচার নিয়ে। ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিটিতে আছেন আলিয়া এফ ও করণ মেহতা।