স্ত্রীর গালে চুমু খেয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠলেন পুষ্পা
‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে আইনি ঝামেলায় ফেঁসেছেন প্যান ইন্ডিয়া তারকা আল্লু অর্জুন। আজ শুক্রবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে আল্লুকে। এই দক্ষিণি সুপারস্টার গ্রেপ্তারের আগের এক ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিওতে ধরা পড়েছে আল্লু আর তাঁর স্ত্রীর এক আবেগঘন মুহূর্ত।
৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লির সন্ধ্যা থিয়েটারে রাত সাড়ে নয়টায় ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ার ছিল। এই প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৩৫ বছরের রেবতী। রেবতীর মৃত্যু ঘিরে ফেঁসে গেছেন আল্লু অর্জুন। কারণ, সন্ধ্যা থিয়েটারের প্রিমিয়ার শোতে দর্শকদের চমক দিতে হঠাৎই হাজির হয়েছিলেন আল্লু অর্জুন। এই প্যান ইন্ডিয়া তারকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে রেবতীর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল্লুকে।
দক্ষিণি এই তারকার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর গ্রেপ্তারির ভিডিও দেখতে নেট জনতা হুড়মুড়িয়ে পড়ছেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আল্লু তাঁর বাড়ির পার্কিং এরিয়াতে আছেন। তাঁকে ঘিরে আছেন তাঁর নিকটজনেরা, নিরাপত্তাকর্মীরা, আর স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি। আর আল্লুর হাতে চায়ের কাপ। চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময়ে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন স্নেহা।
আল্লু স্ত্রীর গালে আলতো চুমু খেয়ে পুলিশের গাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দক্ষিণি তারকাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুলিশ চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়েছিল। এক ভিডিওতে আল্লু অর্জুনকে চার-পাঁচজন পুলিশের সঙ্গে লিফটে দেখা গিয়েছে। এই সময়ে তাঁর পায়ে স্যান্ডেল বা জুতা কিছু ছিল না।
৪ ডিসেম্বরে সন্ধ্যা থিয়েটার ভিড়ে ঠাসা ছিল। এই রাতে ‘পুষ্পা ২’-এর পেইড প্রিমিয়ার শো রাখা হয়েছিল। শো চলাকালীন হঠাৎই আল্লু তাঁর নিরাপত্তাকর্মীসহ সন্ধ্যা থিয়েটারে গিয়েছিলেন। আল্লুর উপস্থিতিতে জনতার মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। সবাই এই প্যান ইন্ডিয়া তারকাকে একঝলক দেখবেন বলে আকুল হয়ে ওঠেন। আর তখনই ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান রেবতী। আর তাঁর সঙ্গে ছিল ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ।
এদিনের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল শ্রীতেজ। চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তাঁর সুরক্ষা কর্মীদের এবং প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ এবং ১১৮ (১) ধারায় মামলা করেছে রেবতীর পরিবার। তাঁদের বক্তব্য আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে রেবতীর পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনার আট দিন পর পুলিশ গ্রেপ্তার করে চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুনকে নিয়ে এসেছে।