সালমানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন

সালমান খান। এএফপি

সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলিবর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। মুম্বাই পুলিশ এ মামলার মীমাংসা করতে আদাজল খেয়ে লেগেছে। অভিযুক্ত দুজন এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাঁরা ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকবেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

১৪ এপ্রিল ভোরবেলায় বান্দ্রায় সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। পরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পুলিশ তাদের চেহারা উদ্ধার করেছিল। এক মাস ধরে তারা মুম্বাইয়ের বুকে ডেরা বেঁধেছিল। গত সোমবার দিবাগত রাত একটা নাগাদ এই দুজনকে পুলিশ গুজরাটের কচ্চের ভূজ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দুই অভিযুক্তের একজনের নাম বিক্কি সাহব গুপ্তা, আরেকজনের নাম সাগর যোগেন্দ্র পাল। তাঁদের দুজনকে পুলিশ ভূজের এক মন্দির থেকে গ্রেপ্তার করেছিল।

জানা গেছে, ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তকারী কর্মকর্তা যখন মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন, তখন দুই হামলাকারী মন্দিরের এক কোণে দিব্যি ঘুমাচ্ছিলেন। মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা আদালতকে জানিয়েছে, এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির উদ্দেশ্য ছিল সালমানকে হত্যা করা। বিক্কি ও সাগরকে ধরতে মুম্বাই পুলিশের একটি দল মুম্বাই থেকে রাজকোট পর্যন্ত বিমানে গিয়েছিল। এরপর তারা সড়কপথে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কচ্চে পৌঁছেছিল। মুম্বাই পুলিশের দল সেখানে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশকে এ বিষয়ে জানিয়েছিল।

সালমান খান
এএনআই

গতকাল মঙ্গলবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসে। এরপর বিক্কি ও সাগরকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ আদালতের কাছে বিক্কি ও সাগরের ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রাইম ব্রাঞ্চের রিমান্ডে রাখার আদেশ দিয়েছেন। তাই তাঁরা ১০ দিন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন।

গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ক্রমাগত সালমানকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছেন। ভাইজানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণের দায়ভার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল নিয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল লরেন্স ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে যুদ্ধ–ই ঠিক আছে। সালমান খান, এই ঘটনা শুধু একটা ট্রেলার, তোমাকে যা আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম। তুমি যাতে আমাদের শক্তি বুঝতে পারো আর আমাদের পরীক্ষা নিয়ো না। এটা প্রথম ও শেষ হুমকি। এরপর গুলি শুধু বাড়িতে চলবে না।’

গত বছর ই–মেইলের মাধ্যমে সালমানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার আগে তাঁর বাবা সেলিম খান এক উড়োচিঠি পেয়েছিলেন। এই চিঠিতেও ভাইজানকে প্রাণে মেরে ফেলার কথা বলা হয়েছিল। এর পর থেকে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। এই বিটাউন তারকাকে বুলেট প্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। সালমানের বাসার বাইরে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।