‘আমার পা যেন একবার এগোচ্ছে, আবার পেছাচ্ছে’

সিনেমার আবহেই সাই মাঞ্জরেকারের বেড়ে ওঠা। এই বলিউড নায়িকার বাবা অভিনেতা তথা পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকার। সালমান খানের হাত ধরে ছায়াছবির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন সাই।

তবু আজও কারও সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে লজ্জা পান এই নায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাই তাঁর আসন্ন ছবি ‘অরোঁ মে কাহাঁ দম থা’ ঘিরে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন।

নীরজ পান্ডের প্রেমের ছবি ‘অরোঁ মে কাহাঁ দম থা’ ছবিতে সাই মাঞ্জরেকার ছাড়া আছেন অজয় দেবগন, টাবু, শান্তনু মহেশ্বরী।

অজয়ের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে এই নায়িকা বলেছেন, ‘কারও সঙ্গে যখন আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়, তখন কেমন যেন লজ্জা লাগে। অজয় স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় এমনই অনুভূতি হয়েছিল আমার। আমার পা যেন একবার এগোচ্ছে, আবার পেছাচ্ছে। সত্যি বলতে, তখন খুব ভীত ছিলাম আমি। অজয় স্যার খুব মিষ্টি স্বভাবের মানুষ। তিনি আমাকে সহজ করে দিয়েছিলেন।’

নতুন এ ছবিতে টাবুর তরুণ বয়সের চরিত্রে দেখা যাবে সাইকে। টাবুর প্রসঙ্গে এই তরুণ অভিনেত্রী বলেছেন, ‘টাবু ম্যামের সঙ্গে শুটিংয়ের আগেই আমার দেখা হয়েছিল। নীরজ স্যারের অফিসে আমাদের প্রথম দেখা। টাবু ম্যাম আমার বাবার ব্যাপারে প্রচুর কথা বলে আমাকে অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন।’

সাই আরও বলেছেন, ‘টাবু ম্যামের তরুণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করার আগে আমার মনে হয়েছিল যে এই দায়িত্ব কীভাবে পালন করব। কর্মশালার সময় মাথায় ঘুরত, কীভাবে এই চরিত্রের সঙ্গে সুবিচার করতে পারব। দর্শকেরা না জানি কী প্রতিক্রিয়া দেবেন। এসব ভয় আমাকে তাড়া করত। কিন্তু নীরজ স্যার আমাকে যখন আমার অভিনীত চরিত্রের ব্যাপারে বোঝান, তখন আমার কাছে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। তিনি যা বলেছেন, আমি চোখ বুজে তা করেছি।’

‘অরোঁ মে কাহাঁ দম থা’ ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে সাই বলেন, ‘শুটিং শুরুর আগে কর্মশালা করেছিলাম। এই কর্মশালা আমাকে চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।’ সাই জানিয়েছেন, নীরজ পান্ডের সিনেমা, তাই তিনি ‘অরোঁ মে কাহাঁ দম থা’ করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি প্রথমে জানতাম না, এই ছবিতে কারা কারা আছেন। ছবিটি করার পেছনে নীরজ স্যারের নামই যথেষ্ট ছিল। আমি বরাবরই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলাম।’
‘অরোঁ মে কাহাঁ দম থা’ চলতি মাসে মুক্তির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এটি মুক্তি পাবে আগামী ২ আগস্ট।