সিনেমায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের জন্য স্ত্রীর পিটুনিও খেয়েছিলেন ইমরান হাশমি
বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইমরান হাশমি ৪৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ‘ফুটপাত’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মার্ডার’ ছবিটি তাঁকে অন্য রকম পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে একে একে এসে যোগ হয় ‘গ্যাংস্টার’, ‘কলিযুগ’, ‘রাজ থ্রি’র মতো ছবিগুলো। পাশাপাশি উত্তাল চুম্বনদৃশ্যে অভিনয়ের জন্য ছড়িয়ে পড়ে ইমরানের কুখ্যাতি। তাঁর মতো করে পর্দায় চুম্বনের সাবলীল অভিনয় আর কেউ করতে পারেন না। তবে এ জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি তাঁকে। এমনকি মারও খেতে হয়েছে স্ত্রীর কাছে।
১৯৭৯ সালের ২৪ মার্চ মুম্বাইয়ে জন্ম ইমরানের। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হাশমি, মায়ের নাম মাহিরা হাশমি। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘সাংহাই’-এর মতো ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন ইমরান।
১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তবে ‘মার্ডার’-এর পর তাঁকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। এমন কোনো ছবি নেই, যেখানে তিনি তাঁর নায়িকাকে চুমু খাননি।
এ কারণে অনেকে আবার মজা করে ইমরান হাশমি না বলে ‘ইমরান কিসমি’ নামেও ডাকেন। অবশ্য ২০১১ সালের ছবি ‘ডার্টি পিকচার’-এরপর একটু একটু করে নিজেকে বদলাতে শুরু করে ইমরান।
২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাজ থ্রি’ ছবিতে ইমরানের সঙ্গে বিপাশা বসুর ছিল এক দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য । বলিউডে এত দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি। এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী পারভিন সাহসী চুম্বনের এসব দৃশ্য পছন্দ করতেন না। নিজের স্বামী পর্দায় অন্য নারীকে চুমু খাচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারতেন না পারভিন। এসব দৃশ্যে খুবই অসন্তুষ্ট হতেন ইমরানপত্নী।
ইমরান বলেছিলেন, ‘এখন চুম্বনের দৃশ্য দেখলে সে খুব একটা মারে না। আগে তো ব্যাগ দিয়ে পেটাত।’ এ নিয়ে ইমরানের দুঃখও কম নয়।
এক সাক্ষাৎকারে ইমরান হাশমি বলেছেন, ‘আমার যন্ত্রণা কেউ বোঝে না। চুমু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। টানা ১৭ বছর একই রকম কাজ করে কেউ দেখাক! প্রতিটি ছবিতে অন্তত ২০টি করে চুমু খেতে হতো আমাকে।’
তবে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত ‘সিরিয়াল কিসার’ তকমাটি একেবারে খারাপ লাগত না ইমরান হাশমির। তিনি বলেন, ‘ওই তকমার জন্য যে কোনো সুবিধা পাইনি, তা নয়। এর কারণেই আমার ছবি হিট করেছে। আসলে এভাবেই একজন অভিনেতাকে একটা ঘরানার মধ্যে ফেলে দেয় দর্শক। তাই না চাইলেও ওই তকমা আমাকে আনন্দ দিয়েছে।’