সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করা এক সুইডিশ কন্যা
বিদেশিনী হয়েও বলিউডের রঙিন দুনিয়ার হাতছানি অগ্রাহ্য করতে পারেননি এলি আব্রাহাম। সুদূর সুইডেন থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে মুম্বাইতে হাজির হয়েছিলেন এলি। আজ এই মায়াবী শহরের বুকে তাঁর নিজের একটা বাসাও হয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুম্বাইতে আসার শুরুর দিনের গল্প শোনালেন এই সুইডিশ অভিনেত্রী।
ফিল্মফেয়ার সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি নিজের বলিউডযোগ প্রসঙ্গে এলি আব্রাহাম বলেন, ‘আমার তখন পাঁচ বছর বয়স। সুইডিশ টেলিভিশনে হঠাৎই বলিউডের একটা ছবির গান দেখি, রঙিন পোশাক পরে নাচছে রূপসী মেয়েরা। তাদের মধ্যে প্রাণশক্তি যেন উপচে পড়ছে। তাদের অভিব্যক্তি, নাচের মুদ্রা দেখে প্রথম দর্শনেই আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।’
এই সুইডিশ রূপসী আরও বলেন, ‘এরপর সঞ্জয় লীলা বানসালির “দেবদাস” ছবিটি আমাকে দারুণভাবে আকর্ষণ করে। তার গল্প বলার ধরন আমাকে মুগ্ধ করে। এই ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন আর মাধুরী দীক্ষিতকে দেখে মনে মনে বলে উঠেছিলাম, আমি তাদের মতো হতে চাই। আমাকে এখন পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
কীভাবে আত্মবিশ্বাস দিয়ে সব বাধা দূর করেছেন, তা–ও জানিয়েছেন এলি, ‘ভাষা আমার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হিন্দি জানতাম না। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী, মানসিকভাবে শক্তিশালী ও সাহসী হন, তাহলে সব বাধা দূর করতে পারবেন। অবশ্যই ধৈর্য রাখতে হবে। নিজেকে ঘষামাজা করে আরও উন্নত করতে হবে। অবশ্যই নিজের কাজের প্রতি সততা আর নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।’
এলি জানিয়েছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এখন অনেক বদল এসেছে, ‘এখন ইন্ডাস্ট্রির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এখানে কেউ এখন কারও জাতীয়তা নিয়ে মাথা ঘামান না। অভিনেতার প্রতিভার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। বিষয়টি আমার দারুণ লাগছে। আমি এখন এত কাজ পাচ্ছি শুধু আমার চেহারার জন্য নয়।’
শুধু বলিউড নয়, দক্ষিণি ছবির দুনিয়াও এলিকে আপন করে নিয়েছে। একের পর এক সুপার হিট দক্ষিণি ছবিতে কাজ করছেন তিনি। এলি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে দক্ষিণি ছবির এক দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আগামী দিনে আমি আরও দক্ষিণি প্রকল্পে কাজ করতে চাই।’
আগামী দিনে এলিকে অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘গণপথ’-এ দেখা যাবে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন টাইগার শ্রফ ও কৃতি শ্যানন। এই সুইডিশ কন্যাকে সবশেষ পর্দায় দেখা গেছে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘গুডবাই’ ছবিতে।