২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মৃত্যুর পর মুক্তি পেয়েছিল তাঁর আলোচিত দুই সিনেমা

‘সত্য’ সিনেমায় রাজেশ যোশীআইএমডিবি

বয়স হয়েছিল মোটে ২৯। অল্প বয়সেই ১৯৯৮ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পাড়ি দেন ওপারে। অভিনেতা হিসেবে ক্যারিয়ারও খুব দীর্ঘ নয়। তবে অল্প সময়ের ক্যারিয়ারেও অভিনেতা হিসেবে ঠিকই নিজের ছাপ রেখেছিলেন তিনি।

অকালপ্রয়াত এই অভিনেতা আর কেউ নন—রাজেশ যোশী। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। পরে আমির খান থেকে অক্ষয় কুমার, ঊর্মিলা মাতন্ডকরের মতো বলি তারকার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রাজেশ।

১৯৬৮ সালের ৩১ জুলাই মহারাষ্ট্রের মাহাড়ে জন্ম। অভিনেতা মনোজ যোশীর ভাই ছিলেন রাজেশ। মনোজের বয়সের পার্থক্য ছিল তিন বছরের।

আরও পড়ুন

ভাইকে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখে প্রেরণা পান রাজেশ। তিনিও অভিনয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেন। মঞ্চনাটকে শুরুর পর থেকেই দারুণ প্রশংসা পান। চোখে পড়ে যান নব্বই দশকের অন্যতম নির্মাতা রামগোপাল ভার্মার।

১৯৯২ সালে রামগোপালের ‘দ্রোহি’তে অভিনয় করে নজর কাড়েন। পরে পরিচালকের ‘রঙ্গীলা’ সিনেমাতেও সুযোগ পান। আমির খান ও ঊর্মিলা মাতন্ডকর অভিনীত এ ছবিটি মুক্তির ভালো ব্যবসাও করে। পায় সমালোচকদের প্রশংসাও। এ ছবিতে আমিরের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় রাজেশকে।

‘রঙ্গীলা’র পর ‘তেরে মেরে সপনে’, ‘আফলাতুন’–এ অভিনয় করেন। কিন্তু কে জানত তাঁর সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার শেষ হবে অকালমৃত্যুতে। ১৯৯৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন অভিনেতা। চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ১২ জানুয়ারি চলে যান তিনি। তবে মৃত্যুর পরও নিজের ছাপ রেখেছেন রাজেশ।

‘সত্য’ ও ‘সরফরোশ’–এর মতো আলোচিত দুটি সিনেমা মুক্তি পাওয়া রাজেশের মৃত্যুর পর। ধীরে ধীরে তাঁর অভিনয়প্রতিভার কথা আরও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তত দিনে আফসোস ছাড়া আর কিছু করার নেই।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা