বিজেপির হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত কঙ্গনা
অক্টোবরের শুরুর দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রনৌত জানিয়েছেন, রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ থাকলেও অভিনয়ের ব্যস্ততার মধ্যে রাজনীতির ক্যারিয়ার শুরু করা কঠিন। তবে নতুন দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শিগগিরই রাজনীতিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে ৩৫ বছরের এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘নতুন এক ক্যারিয়ার শুরু করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু রাজনীতির প্রতি আগ্রহ আছে। সেই আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমি সব সময় ভালো ছবি নির্মাণ করব। আমার রাজনীতি, আমার কাজের মধ্যে দেখতে পাবেন।’
তবে নতুন দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনীতি নিয়ে নিজের অবস্থান বদলের কথা জানিয়েছেন কঙ্গনা। জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি চাইলে তিনি রাজনীতিতে আসতে প্রস্তুত।
নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের এক অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেছেন, যদি স্থানীয় মানুষ তাঁকে সমর্থন করে ও বিজেপি চায়, তবে অবশ্যই ভোটের লড়াইয়ে নামতে তিনি তৈরি।
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘সরকার চাইলে এ বিষয়ে (রাজনীতি) আমার মনোভাব ইতিবাচক।’ অনেকে মনে করছেন কঙ্গনার এ বার্তার পর আগামী নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি থেকে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হলো।
কঙ্গনা অবশ্য আগে থেকেই বিজেপি–ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। নানা সময়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করছেন।
একই অনুষ্ঠানে কঙ্গনা কথা বলেছেন হিন্দি সিনেমার সাম্প্রতিক ব্যর্থতা প্রসঙ্গে। আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’ ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বলিউডের ‘বয়কট সংস্কৃতি’ নিয়ে। উত্তরে কঙ্গনা বলেন, ‘তারকারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। তাঁরা একটা কাজের জন্য ২০০ কোটি রুপি নেন, যার উপযুক্ত পারিশ্রমিক ২ কোটি। যখন দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে, তখন তাঁরা ব্যক্তিগত বিমানে যাতায়াত করেন। এটা ঠিক বয়কটের ব্যাপার নয়, সার্বিকভাবে ব্যর্থতা।’
অনুষ্ঠানে আবারও আমির খানকে একহাত নেন কঙ্গনা, ‘ভারত যখন নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, আমির তখন তুরস্কে তাঁদের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলেছে। যে তুরস্ক আমাদের (ভারত) বিরোধিতা করেছে। তিনি পুরো দুনিয়াকে জানিয়েছেন নিজের দেশে অসহনীয় অবস্থা চলছে।’
কঙ্গনাকে সামনে পর্দায় রাজনৈতিক নেত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে। ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায়।