কাকে ভালোবাসার মানে বোঝালেন সামান্থা?

সামান্থা রুথ প্রভুশিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

তাঁরা একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় জুটি। কিন্তু এখন দক্ষিণের তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভুর পথ দুটি দিকে বেঁকে গেছে। বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে চলেছেন নাগা। মাত্র কয়েক দিন আগেই সবিতা ধুলিপালার সঙ্গে বাগদানও সেরে ফেলেছেন। এর পর থেকেই সাবেক স্ত্রী সামান্থাকে নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সাবেক স্বামীর নতুন বিয়ে নিয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে মুখিয়ে আছেন ভক্ত–অনুরাগীরা।
এমন জল্পনা-কল্পনার মাঝেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী সামান্থা। পোস্টে ভালোবাসা ও সম্পর্ক নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ভালোবাসার আরেক নাম ত্যাগ।’ তাঁর ভাষ্য, সম্পর্কে একজন নিজের সবটা উজাড় করে দেন।

সঙ্গীর মন জয় করার জন্য অনবরত চেষ্টা করে যান। অধিকাংশ প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ যেন তাঁর দিক থেকেই আসে। কিন্তু অপর জন সেই সময় নিজেকে ভালোবাসায় মুড়ে রাখতে পছন্দ করেন। ভালোবাসা পাওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য। অধিকাংশ সম্পর্কের কাঠামোই এমন।

দক্ষিণি নায়িকা সামান্থা রুথ প্রভু
শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

পাশাপাশি পোস্টে সম্পর্কে আদান-প্রদান বিষয়টি নিয়েও নিজের মতামত স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। সামান্থা লিখেছেন, সবাই ভাবে বন্ধুত্ব বা যেকোনো সম্পর্কেই আদান–প্রদানের একটা সমীকরণ থাকে। তুমি কিছু দেবে। আমি কিছু দেব। কিন্তু বছরের পর বছর আমি একটা বিষয় শিখেছি, ভালোবাসা এমনই যে তুমি শুধুই দিয়ে যাবে।

২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর নাগা চৈতন্যকে বিয়ের মধ্য দিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু হয়ে হয়েছিলেন ‘আক্কিনেনি’ পরিবারের একজন, সামান্থা আক্কিনেনি
ইনস্টাগ্রাম থেকে

কিন্তু অপর পক্ষ হয়তো কিছুই দেবে না। আদান–প্রদানের সম্পর্ক নয়। বরং তুমি যত দিন না আমাকে ভালোবাসা ফেরত দিচ্ছ, তত দিন আমিই শুধু ভালোবেসে যাব।
সামান্থা নিজের পোস্টে ভালোবাসার অর্থকে বলেছেন ত্যাগ। সেই সঙ্গে কিছু মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। সামান্থা বলেন, ‘আমি সত্যি কৃতজ্ঞ যে কিছু মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমি তাঁদের পাল্টা ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারি না।’

দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ককে পরিণয়ে রূপ দিতে ২০১৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন জনপ্রিয় জুটি সামান্থা ও নাগা। চার বছরের সংসারের পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এই দম্পতি। জানা গেছে, বিচ্ছেদের মাত্র দুই মাস আগেও সন্তান নিতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু তখনই তাঁদের জীবনে তৃতীয় ব্যক্তি, অর্থাৎ সবিতার আগমনের গুঞ্জন রটে যায়। এরপর তাঁদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়।