ফিল্মফেয়ার ট্রফি দিয়ে ‘শৌচাগারের দরজার হাতল বানিয়েছেন’ নাসিরুদ্দিন শাহ
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেতে বছরের পর বছর ধরে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন ভারতীয় শিল্পী, নির্মাতারা। এটি ভারতের সবচেয়ে পুরোনো পুরস্কারের একটি। তবে বলিউড অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের কাছে এই পুরস্কার মূল্যহীন।
তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এ অভিনেতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য লালানটপ ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তাঁর কাছে ফিল্মফেয়ারের ট্রফির কোনো মূল্য নেই। এই ট্রফিকে খামারবাড়ির শৌচাগারের দরজার হাতল হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি।
‘আক্রোশ’, ‘চক্র’ ও ‘মাসুম’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ। ফিল্মফেয়ারের ট্রফিকে হাতল হিসেবে ব্যবহারের খবরটি কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, বিষয়টিকে অনেকে গুজব বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহকে প্রশ্ন করা হলে হাসতে দেখা গেছে তাঁকে; এরপর তিনি বলেন, ‘যেকোনো চরিত্রেই শিল্পীরা সেরাটা দিয়ে কাজ করেন। সেখান থেকে যদি একজন শিল্পীকে তুলে ধরে বলেন, “ইনিই এই বছরের সেরা অভিনেতা”—এটা কতটুকু ন্যায়সংগত? আমি এই পুরস্কার নিয়ে গর্ব বোধ করি না। এমনকি আমি দুটি পুরস্কার গ্রহণের জন্য যাইওনি। ট্রফিগুলো আমার খামারবাড়িতে রেখেছি। যে কেউ শৌচাগারে গেলেই দুটি পুরস্কার পাবে। কারণ, শৌচাগারের হাতলগুলো ফিল্মফেয়ার ট্রফি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।’
ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের বিরুদ্ধে তদবিরেরও অভিযোগ তুলেছেন এই নাসিরুদ্দিন শাহ। প্রথমবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়ে খুশি হলেও পরের দুবার পুরস্কার গ্রহণে কোনো উৎসাহ পাননি। ফলে তিনি পুরস্কার নিতেও যাননি। পরে পুরস্কার তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছেন ফিল্মফেয়ার কর্তৃপক্ষ।
চলচ্চিত্রে নাসিরুদ্দিন শাহর অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী ও ২০০৩ সালে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত করেছে। এই পুরস্কারগুলো তাঁকে গর্বিত করেছে, খুশি মনেই পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেছেন তিনি। তবে তাঁর অবস্থান কখনোই ফিল্মফেয়ারের মতো প্রতিযোগিতামূলক পুরস্কারের পক্ষে থাকবে না বলেও জানান তিনি।
নাসিরুদ্দিন শাহকে সর্বশেষ জিফাইভে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘তাজ: রেইন অব রিভেঞ্জ’–এ দেখা গেছে।