মা প্রায়ই বলেন, আমার জন্য পাত্র পাওয়া মুশকিল: কঙ্গনা রনৌত
একই অঙ্গে কত রূপ। অভিনয়, পরিচালনার পর এবার প্রযোজকের ভূমিকায় কঙ্গনা রনৌত। কিছুদিন আগে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর প্রযোজিত ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু’। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে কঙ্গনার মুখোমুখি হয়েছিলেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকসহ প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি।
আড্ডার শুরুতে উঠে এল প্রযোজক হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
কঙ্গনা জানান, ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবিটি প্রযোজনা করতে তাঁর এতটুকু অসুবিধা হয়নি। কারণ, এই ছবির টিমটা ছিল দুর্দান্ত। তাই চাপমুক্ত হয়ে কাজ করতে পেরেছেন তিনি। কঙ্গনা বলেন, ‘প্রযোজকদের সব সময় তারকাদের মেজাজ বুঝে চলতে হয়। আমার ছবির নায়ক ছিলেন নওয়াজ (উদ্দিন সিদ্দিকী) স্যার। তিনি অন্য তারকাদের মতো নন। তারিখ নিয়ে ভোগানো বা সেটে দেরি করে আসা তাঁর ধাতে নেই। আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযোজনার দুনিয়াকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে অনেকে এখানে পা রাখতে ভয় পান। শুরুতে আমারও একই হাল ছিল। আসলে এর মূল কারণ তারকারা। তারকাদের পারিশ্রমিকের চাপে প্রযোজকেরা পিষে শেষ হয়ে যেতে বসেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তারকাদের দৌরাত্ম্য বেশি।’
বলিউডের অন্যতম সফল নায়িকা কঙ্গনা। সফলতার সংজ্ঞা কী তাঁর কাছে? জানতে চাইলে এই তারকা বলেন, ‘আমার মনে হয় সফলতাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। ব্যর্থতাকে কিছুতেই গ্রহণ করতে পারি না। বিশেষ করে আজকের প্রজন্মের এ বিষয়ে ধৈর্য অনেক কম। তাই অল্পেই তারা ভেঙে পড়ে।
ব্যর্থতার হাত ধরে সফলতা আসে। আমার কাছে সফলতা মানে স্বাধীনতা। আমি এখন স্বাধীনভাবে নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। কোনো কিছু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার এখন পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।’
আজকের কঙ্গনা পুরোদমে সফল। প্রভাব ফেলতে পারেন ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে আজও সেসব দিনের কথা ভুলতে পারেননি কঙ্গনা।
এ প্রসঙ্গে একটু আনমনা হয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে সফলতার পাশাপাশি সংগ্রাম সমানভাবে আছে। একসময় প্রতিদিন অডিশন দিতাম আর প্রতিদিনই বাদ পড়তাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি। আসলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমার মাথায় অভিনেত্রী হওয়ার ভূত চেপে বসেছিল।’ আলতো হেসে তিনি বলেন, ‘জানেন, শুরুতে আমার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে অভিনেত্রীদের পর্দার আয়ু কম। এমনকি আমি ভালো অভিনয় করি বলে অনেক নির্মাতার সমস্যা হতো। তাঁরা বলতেন যে এত ভালো অভিনয় করার প্রয়োজন নেই!’
কঙ্গনা মনে করেন, ‘গ্যাংস্টার’ ছবিটি তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় জাদুকরি ঘটনা। হাজার হাজার মেয়ের মধ্য থেকে পরিচালক অনুরাগ বসু তাঁকে নির্বাচন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভাগ্যের জোরে আমার জীবনে অনেক জাদুকরি ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি মনে করি পরিশ্রমই শেষ কথা।’
বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সশব্দ হেসে ওঠেন কঙ্গনা। বলেন, ‘সে তো কবে থেকে মা দিচ্ছেনই! তিনি তো বিয়ের কথা বলে বলে ক্লান্ত। মা প্রায়ই বলেন যে আমার জন্য পাত্র পাওয়া মুশকিল।’