এ নামে ডাকবেন না...
তারকাদের ভালোবেসে কত নামেই না ডাকেন ভক্তরা। তাঁদের ভালোবাসাও সাদরে গ্রহণ করেন তারকারা। তবে এবার ভক্তদের এ ভালোবাসা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিলেন দক্ষিণি তারকা কমল হাসান। কমল হাসান, কমল বা কেএইচের বাইরে নামের আগে কোনো তকমা দেওয়া হোক, চান না অভিনেতা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিলেন কমল হাসান।
ভক্তরা কমল হাসানকে ভালোবেসে ‘উলাগানয়াগান’ বলে ডাকেন। শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক কে এস রবিকুমার। ‘উলাগানয়াগান’ তামিল ভাষার একটি জোড়া শব্দ। ‘উলাগাম’ মানে ‘বিশ্ব’ আর ‘নয়াগান’ মানে নায়ক। যা ইংরেজিতে ‘হিরো অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। আর বাংলায় ‘বিশ্বনায়ক’।
এ নামে না ডাকতে ভক্তদের বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন কমল হাসান। ফেসবুকে এক বিবৃতিতে অভিনেতার পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘নামের সঙ্গে “উলাগানয়াগান”-এর মতো উপাধি যুক্ত হওয়ায় সব সময়ই কৃতজ্ঞতা অনুভব করেছি। এসব স্বীকৃতি সাধারণ মানুষের দেওয়া, যা আমার সম্মানিত সহকর্মী ও ভক্তদের দ্বারা স্বীকৃত। আপনাদের এই ভালোবাসা পেয়ে সত্যি আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
কমল হাসান মনে করেন, ব্যক্তির চেয়ে শিল্প বড়। এ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘চলচ্চিত্রশিল্প যেকোনো ব্যক্তিকে অতিক্রম করে। আর আমি শিল্পের সামান্য একজন ছাত্র, তাই চিরকাল আমি শিখতে চাই এবং বিকশিত হতে চাই। সিনেমা অন্য যেকোনো সৃষ্টিশীল কাজের মতোই। এটি অগণিত শিল্পী, কলাকুশলী ও দর্শকেরা তৈরি করেন; যাতে মানবতার বৈচিত্র্যময় প্রতিফলন ঘটে।’
‘উলাগানয়াগান’ উপাধি প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়ে কমল হাসান লেখেন, ‘আমার বিশ্বাস, শিল্পীকে শিল্পের ঊর্ধ্বে জায়গা দেওয়া উচিত নয়। আমি মাটিতে থাকতে চাই, ক্রমাগত আমার অপূর্ণতা এবং উন্নতি করার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে চাই।
অতএব আমি এ–জাতীয় সব শিরোনাম বা উপসর্গকে সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি। আমার সব ভক্ত, সংবাদমাধ্যম, চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষসহ সব ভারতীয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ, আমাকে শুধু কমল হাসান বা কমল কিংবা কেএইচ বলে সম্বোধন করুন।’
১৯৬০ সালে মাত্র ৫ বছর বয়সে ‘কালাথোর কান্নাম্মা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন কমল হাসান। এর জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।