সাহসী এক মায়ের চরিত্রে রানী
‘মর্দানি’, ‘ব্ল্যাক’ অথবা ‘হিচকি’—রানী মানেই ব্যতিক্রমী কোনো ছবি। পর্দায় তাঁকে দাপুটে সব নারী চরিত্রে দেখা যায়। আবারও এক সাহসী নারী চরিত্রে সবার মনে জায়গা করে নিলেন তিনি। ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে দেবিকার চরিত্রে দেখা গেল তুখোড় এই বলিউড অভিনেত্রীকে। গতকাল মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। মুক্তির আগে সম্প্রতি রানী এই ছবির প্রচারে জানিয়েছেন, ভারতীয় নারীদে সারা বিশ্বের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।
মুক্তির আগেই অসীমা ছিব্বার ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির ট্রেলার সবার মন ছুঁয়ে গেছে। রানী এই ছবির যে মূল চরিত্রে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ছবিতে ‘মিস্টার চ্যাটার্জি’র ভূমিকায় দেখা গেছে বাঙালি অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। বাংলার মেয়ে সাগরিকা ভট্টাচার্যের জীবনের এক সত্য ঘটনার আধারে ছবিটি নির্মিত।
রানী এই ছবির প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সারা বিশ্বের দর্শকের সামনে ভারতীয় নারীদের খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করা জরুরি ছিল। কারণ, আমি নিজে একজন ভারতীয় নারী। আমার মতে, ভারতীয় মেয়েরা সারা দুনিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কারণ, আমরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ও দয়ালু প্রকৃতির। ভারতীয় মেয়েদের অন্তরটা সুন্দর। আমরা অনেক ত্যাগ করতে পারি। আবার ক্ষমাও করতে পারি। আবার ভারতীয় মেয়েরা অনেক বেশি সাহসী হয়। প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে ভারতীয় নারীরা পিছপা হন না। আমি চাই ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবি দেখার পর সবাই যেন বলে ওঠেন, বাহ! এমনই হয় ভারতীয় নারীরা।’
এ প্রসঙ্গে রানী আরও বলেছেন, ‘এই ছবিটি এমন এক মায়ের ভ্রমণ নিয়ে, যিনি যেকোনোভাবেই হোক তাঁর সন্তানদের নিজের কাছে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। আমার শোনা সবচেয়ে সাহসী সুপারহিরোর কাহিনি এটা। সেই মা সন্তানদের প্রতি গভীর ভালোবাসার তাগিদে জাতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এমনকি নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁকে লড়তে হয়েছে। সেই সাহসী মা কখনোই হাল ছাড়েননি। কারণ, তিনি জানতেন তাঁর সন্তানদের নিজের কাছে ফিরিয়ে আনতে কোনো অন্যায় তিনি করছেন না।’
রানী বলেছেন, ‘বাস্তবের এই ঘটনা সম্পর্কে আমি আগে কিছুই জানতাম না। ছবির গল্প শোনার পর নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এ রকমটাও ঘটতে পারে।’
রানী তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তবে আমি শুধু রানী-ই। কিন্তু ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের মাধ্যমে আমি নানা ধরনের ভারতীয় নারীর জীবনের স্বাদ নিতে পেরেছি। আমি মিসেস চ্যাটার্জি, শিবানী শিবাজি রায়, রিয়া, শশি, মিশেল, বিম্মীসিহ আরও কত চরিত্রের মধ্যে দিয়ে বেঁচেছি।’