বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর সালমানের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি-অজিত পাওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দিক। তাঁর মৃত্যুতে তোলপাড় বলিউড। কারণ, বহু বলি তারকার খুব কাছের ছিলেন তিনি। বলিউড ভাইজানখ্যাত সালমান ও বাদশাহ শাহরুখের পুনর্মিলনীও হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর শুটিং বন্ধ করে হাসপাতালে ছুটে যান সালমান খান।
তবে সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা হত্যাকাণ্ডের পর ভাইজানকে নিয়ে চিন্তিত ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিককে খুনের ঘটনায় মুম্বাইয়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার পর সালমানের অ্যাপার্টমেন্টে গ্যালাক্সির বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে আগের চেয়ে বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রয়েছেন।
বাবা সিদ্দিক মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের শেষে অজিত পাওয়ারের দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন তিনি। বাবা সিদ্দিক ঈদের আগে বার্ষিক ইফতার পার্টির আয়োজন করতেন, যেখানে বসত তারকাদের মেলা।
এ রকমই এক পার্টিতে শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে চলা বহুদিনের ঝগড়ার অবসান ঘটিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা বলছে, সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই কাল হলো বাবা সিদ্দিকের। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। যারা বহুদিন ধরে সালমান খানকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা জানায়, বাবা সিদ্দিককে হত্যার পেছনে সালমানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার দায় রয়েছে। এর পরপরই মূলত বলিউড ভাইজান সালমান খানের বাড়িতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই এখন জেলে থাকলেও তাঁর গ্যাং সক্রিয়। কিছুদিন আগে সালমানের বাড়ির সামনে গুলি চলেছিল। সে ঘটনায়ও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।