পাঁচ বছর একদম বেকার ছিলেন পত্রলেখা
মা–বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট হবে; কিন্তু অভিনয় জগতের টান এড়াতে পারেননি পত্রলেখা। ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো বেশ কষ্টকর ছিল এই বলিউড নায়িকার জন্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে খোলাসা করেছেন তিনি।
পত্রলেখার বাবা পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট। তাই তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে পত্রলেখা তাঁরই পথ অনুসরণ করুক; কিন্তু পত্রলেখা মোটেও তা চাননি। বিজ্ঞাপন ছবিতে অভিনয় করতে করতে প্রথম ‘সিটিলাইটস’ ছবিতে সুযোগ পান পত্রলেখা। এই ছবিতে তিনি রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে এসেছিলেন। ‘সিটিলাইটস’ ছবিটি দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছিল; কিন্তু এই ছবিটি পত্রলেখার ক্যারিয়ারের মোড় সেভাবে ঘোরাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘“সিটিলাইটস” ছবির পর আমি বড় কোনো ছবির প্রস্তাব পাচ্ছিলাম না। মনের মতো কাজ করার সুযোগ পাইনি।
সিটিলাইটস ছবির পর পাঁচ বছর আমার হাতে কোনো কাজ ছিল না। এরপর কোভিড এল; কিন্তু মহামারি আমার জন্য খুবই লাভদায়ক হয়েছিল।
কারণ ওই সময়ে ওটিটি উদয় হলো। আমি বেশ কিছু ভালো সিরিজ এবং ছবিতে সুযোগ পেলাম। আমি জমিয়ে কাজ করেছিলাম। এখন সব এক এক করে মুক্তি পাচ্ছে।’
বলিউডের বাইরে থেকে আসার সংগ্রামের কথা পত্রলেখা এই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে এসেছিলাম বলে আমাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি জানতাম না যে ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে কাজ করতে হয়। পিআর (জনসংযোগ) কাকে বলে, তা জানতাম না। তখন আমার কাছে অর্থ ছিল না। প্রথম ছবিতে অভিনয় করে আমি তিন-চার লাখ টাকার মতো পেয়েছিলাম।
আমি কাউকে তখন জানতাম না। আমি কখনোই বলব না যে ইনসাইডারদের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। ওদেরকেও অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে আমি ভাগ্যবতী, আমার মা–বাবার নিজের বাড়ি ছিল। তাই কারোর সঙ্গে আমাকে ঘর ভাগ করে নিতে হয়নি। আর খালি পেটে আমাকে শুতে হয়নি।’
দীর্ঘদিন অভিনয় জগতে কাটানোর পর আজও প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয় পত্রলেখাকে। এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এখনো অডিশন দিই, আর এখনো প্রত্যাখ্যাত হই। আর আমার এতে একদমই খারাপ লাগে না। আমি তো একজন অভিনেত্রী। তাই আমার মনে হয়, এটা তো আমার কাজের অঙ্গ।
প্রতিটি চরিত্রের এক নিজস্ব লুক থাকে। আমি সেই লুক অনুযায়ী যথাযথ নাই–বা হতে পারি। সত্যি বলতে অডিশন দিতে আমার খুব মজা লাগে। আজ অবধি আমি যত কাজ পেয়েছি, তা অডিশন দিয়েই পেয়েছি।’
নেটফ্লিক্সে পত্রলেখা অভিনীত ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড পাঞ্জাব’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে।