তৈমুর এখনই ছোট ভাইয়ের ওপর খবরদারি করে, ঘরের কথা বললেন কারিনা
দুই বলিউড তারকা সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর দীর্ঘ প্রেমের পর ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর ঘর বাঁধেন। চার বছর পর তাঁদের ঘরে আসে ছোট নবাব তৈমুর। তারপরও কারিনা সমানতালে অভিনয় চালিয়ে গেছেন। পরে ২০২০ সালে দ্বিতীয়বার মা হন এই তারকা। তখনো সব সামলে কাজে ফিরেছিলেন কারিনা। কিন্তু দুই সন্তান নিয়ে সংসার ও অভিনয় চালিয়ে যাওয়া কি সহজ ছিল? এবার সেই ঘরের খবরই একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বড় ছেলে তৈমুর আলী খানের বয়স এখন সাত বছর। ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর। পরিবারে তার ডাকনাম জেহ। এখন তার বয়স তিন বছর। বলা যায়, বেশ বড় হয়ে উঠছে ছেলেরা। তাহলে কারিনার আর চিন্তা কিসে। এখন সমানতালে শুটিং ও সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন? এমনটা যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা শুনে অবাক হবেন যে দূর থেকে সংসারটা এমন হওয়ার কথা থাকলেও দুই ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল এই দম্পতি। একসঙ্গে সন্তান বড় করা আর ক্যারিয়ার ঠিক রাখতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। কারণ, এই তারকার ছোট দুই সন্তান মারামারিতে পর্যন্ত জড়ান। তবে ভালো যে বাসেন না, তেমনটা নয়। দুই ভাইয়ের অনেক মিল। কিন্তু যত ঝামেলার শুরু হয় বড় ভাই তৈমুরের ছোট ভাইয়ের ওপর খবরদারি করার কারণে।
কারিনা জানান, দুই ভাই সব সময় একসঙ্গে থাকে। ছোট ছেলেটা তৈমুর ছাড়া কিছু বোঝে না। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সব উল্টাপাল্টা হয়ে যায়। ‘আমি হয়তো দেখলাম দুই ভাই মারামারি করছে, দুষ্টুমি করছে। তখন তাদের বোঝাই এগুলো না করতে। একে অন্যকে ভালোবাসতে বলি। বা মারামারি করলে পৃথক করে দিই। তখন বুঝতে পারি তৈমুর বড় সেই কারণে সে ছোট ভাইয়ের ওপর কর্তৃত্ব দেখায়। অনেক সময় সে জেহকে বুলিং করে, আবার ধাক্কাও দেয়। তখন আমার আর সাইফের একটাই কথা থাকে, তোমার এগুলো কি করছ?-একটি ইউটিউবকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন কারিনা।
দুই ছেলেকে নিয়ে ভালো সময় কাটলেও প্রায়ই অতিষ্ঠ হতে হয় এই তারকাকে। কারিনা বলেন, ‘দুই ছেলেকে সামলানো খুবই কঠিন। মনে হয় তারা এখন অনেক শক্তিশালী। আগে যা সিনেমায় দেখেছি এখন সেগুলো আমার বাস্তব জীবনে ঘটছে।’
দুই ছেলেকে নিয়ে ঘটনা এখানেই শেষ না। একদিন সকালে একটু নিজে মতো করে সময় কাটাচ্ছিলেন কারিনা। এমন সময় তিনি শুনতে পান স্বামী সাইফের উচ্চ স্বর। সাইফের উচ্চ স্বরে চিৎকার শুনে দ্রুত ঘটনা স্থলে আসেন কারিনা। এসে জানতে চাই, ‘কি হয়েছে?’ তিনি তাকিয়ে দেখতে পান দুই ছেলে তখনো মারামারি করছে। আর সাইফ তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। কারিনা বলেন, ‘ঘর ক্যারিয়ার সামলানো নিয়ে কঠিন অবস্থায় থাকতে হয়। ছেলেদের বোঝাতে, মারামারি থামিয়ে সহ অবস্থানে নিয়ে আসতেই প্রায় দিন চলে যায়। তারা দুজনই শক্তিশালী ব্যক্তি (হেসে)। আবার ছোটটা অনেক সময় বলে, সে বড় ভাইকে ধাক্কা দেয় নাই। আবার বড় ভাই কিছু বললেই বলে, ‘‘তার রুমে না আসতে।’ ’ তবে দুই ভাইয়ের রাগ অভিমান বেশি সময় থাকে না। ১৫ মিনিট পরপরই তাদের মুড পরিবর্তন হয়। তার পরে একসঙ্গে খাওয়া ও খেলাধুলা শুরু হয় দুই জুনিয়র খানের। বেশির ভাগ সময় তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকে।’
হাসতে হাসতে কারিনা এটাও জানান, দুই ভাইয়ের মারামারির পরে কারিনা তাদের কখনো শাসন করেন। কারিনা বলেন, ‘দেখা যায় এমনও হয় ছোটটা তৈমুরকে লাথি মেরেছে। তখন আমি বলি তৈমুর তোমার বড় তাকে লাথি মারলা কেন? তখন তৈমুর কান্না করতে করতে বলতে থাকবে, ‘‘আমি তোমার কারণে জেহ এর ওপর রেগেছিলাম, জেহর সঙ্গে এভাবে জোরে কথা বলবে না।’ তখন হাসা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না এই অভিনেত্রী।
বোঝাই যাচ্ছে ক্যারিয়ার সংসার নিয়ে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে কারিনাকে। তারপরেও থেমে নেই এই অভিনেত্রী। এর মাঝেই শুটিং শেষ করতে হচ্ছে। কাল শুক্রবার কারিনা অভিনীত ‘ক্রু’ মুক্তি পাবে। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন টাবু ও কৃতি শ্যানন প্রমুখ। এটি পরিচালনা করেছেন রাজেশ এ কৃষ্ণা।