এটাই কি অবিবাহিত তামান্নার শেষ জন্মদিন?

তামান্না ভাটিয়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘আজ কি রাত মজা হুসনো কি’, ‘স্ত্রী-২’ সিনেমার গানের সঙ্গে নতুন এক তামান্না ভাটিয়াকে আবিষ্কার করেছিলেন সিনেজগতের মানুষেরা। গানটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে পৌঁছে যায়। এই একটি গানই তামান্নাকে নতুন করে চিনেছেন চলচ্চিত্রের জগতের মানুষ থেকে ভক্তরা।

তামান্না ভাটিয়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সেই তামান্নার জন্মদিন আজ ২১ ডিসেম্বর। ৩৫ বছরে পা রাখলেন নায়িকা। তবে সম্ভবত এটাই তামান্নার জীবনের শেষ অবিবাহিত জন্মদিন। এর পরের জন্মদিনগুলোতে তামান্নার সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্‌যাপন করবেন বর্তমান প্রেমিক বিজয় ভার্মা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আসছে বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী।

‘লাস্ট স্টোরিজ ২’-এ প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেন এই জুটি। সে সময় তাঁদের রসায়ন নজর কেড়েছিল দর্শকের। সেখান থেকেই নাকি প্রেম। তাঁরা সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার না করলেও মাঝেমধ্যেই মুম্বাইয়ের রাজপথে, শপিং মলের বাইরে কিংবা সিনেমা হলে একসঙ্গে দেখা যায় এই জুটিকে। শুধু তা–ই নয়, বিদেশ ভ্রমণের সময় এয়ারপোর্টেও পাপারাজ্জিদের সামনে পড়ে যান তামান্না-বিজয়।

তামান্না ভাটিয়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

তবে সম্পর্ক নিয়ে একবার তামান্না বলেছেন, ‘আমার আর বিজয়ের সম্পর্কের সেতু হলো সিনেমা। আমরা একসঙ্গে প্রচুর সিনেমা-ওয়েব সিরিজ দেখি। শুধু দেখি বললে ভুল হবে, আলোচনাও করি।’ তামান্নার মতে, দুজনের সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধনের কারণ এই সিনেমাই।

জানা গেছে, তামান্না-বিজয়ের পরিবারে নাকি সাজ সাজ রব। বিয়ের আগে নতুন বছরের শুরুতে বাগদানও সেরে ফেলার গুঞ্জন উঠেছে। তামান্নার জন্ম মুম্বাইতে। প্রথম সিনেমা বলিউডে। কিন্তু জনপ্রিয় হয়েছেন তেলেগু সিনেমা দিয়ে। তাঁর রূপ-লাবণ্যের যেন কোনো কমতি নেই। তামিল সিনেমাতেও দেখা মিলেছে গুণী অভিনেত্রীর।

বিজয় ভার্মা ও তামান্না ভাটিয়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

১৯৮৯ সালের এই দিনে মুম্বাইয়ের ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তামান্না। বাবা হীরা ব্যবসায়ী। কিন্তু অনেকেই জেনে অবাক হবেন যে মাত্র ১৩ বছর থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রী। স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে অভিনয় দেখেই প্রথম অভিনয়ের প্রস্তাব পান। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় এক বছর থিয়েটারে কাজ করেন তামান্না। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই নায়িকা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হন তিনি। যদিও সিনেমাটি ফ্লপ হয়েছিল। একই বছর তেলেগু সিনেমাতেও অভিষেক হয় তামান্নার। এর এক বছর পর তামিল সিনেমায়।

২০০৭ সালে ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় তামান্নার। ‘হ্যাপি ডেইজ’ এবং ‘কাল্লুরি’ নামের দুটি সিনেমায় অভিনয় করে দক্ষিণে নিজের অবস্থান পাকা করে ফেলেন অভিনেত্রী। দুটি সিনেমাই ছিল দর্শকপ্রিয় এবং বক্স অফিসে সফল। যার সুবাদে তিনি পান যান সেরা তামিল অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার সাউথ পুরস্কারের মনোনয়ন।

আরও পড়ুন

পরবর্তী সময়ে তামান্না ভাটিয়া অভিনয় করেছেন বেশ কিছু সফল ও সুপারহিট সিনেমায়। এগুলো হলো ‘থিল্লালাঙ্গাদি’, ‘স্পিডুন্নুডু’, ‘জাগুয়ার’, ‘কান্দেন কাধালাই’, ‘কেদি’, ‘কান্নে কালাইমানে’, ‘স্কেচ’, ‘না’, ‘পাডিক্কাথাভান’, ‘ধর্ম দুরাই’, ‘বলে চুডিয়া’, ‘হামশকলস’, ‘সুরা’, ‘বাদ্রিনাথ’, ‘সিটিমার’, ‘খামোশি’, ‘ভেঙ্গাই’সহ বহু ব্যবসাসফল সিনেমাতে। পাশাপাশি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সফল আর জনপ্রিয় সিনেমা ‘বাহুবলী’তেও অভিনয় করেন তিনি। এই সিনেমা তাঁকে নিয়ে গেছে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তায়। ২০১৭ সালে তামান্না ভাটিয়া ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ জন অভিনয়শিল্পীর তালিকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন।