স্বামীর গোপন কথা ফাঁস করলেন
গত বছরের ৪ জুন বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম ও পরিচালক আদিত্য ধর। হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিয়ে করায় একসঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেননি। দুজনই ব্যস্ত ছিলেন পূর্বনির্ধারিত কাজে। বিয়ের এক বছর পর অবশেষে ফুরসত পেয়েছেন এই তারকা দম্পতি। বিয়ের পর এই প্রথম তাঁরা একান্তে ছুটি উপভোগ করেছেন। সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামি ফাঁস করেছেনে আদিত্যর কিছু গোপন কথা। ইয়ামি বলেন, ‘বিয়ের পর আমি আর আদিত্য ছুটি কাটাতে যেতে পারিনি। তাই এবার আমরা পুরোপুরি ছুটির মুডে ছিলাম। কোনো কাজ করিনি। শুধুই মজা করেছি।’ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ইয়ামি জানিয়েছেন তাঁদের দাম্পত্যজীবনের এক মজার তথ্য, ‘আদিত্য রাঁধুনি হিসেবে দুর্দান্ত। তার হাতের সব রান্নার স্বাদই আলাদা। আমি আগে রান্নাবান্না জানতাম না। আমি কেবল সাফসুতরাতে ভালো। বিয়ের আগে আমার কাজ ছিল শুধু সাফসুতরা করা। আমার বোন সুরিলি হেঁশেল সামলাত। এভাবে আমরা মাকে সাহায্য করতাম। আদিত্যর পরিবারে প্রত্যেকে ভালো রান্না করেন। আমি ধীরে ধীরে রান্নাবান্না শেখার চেষ্টা করছি।’
সাক্ষাৎকারে ইয়ামি জানান নিজের সম্পর্কে এক অজানা তথ্যও—কেনাকাটা করতে খুব একটা পছন্দ করেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘বেড়াতে গিয়েও বেশি শপিং করিনি। আমার শপিংয়ের নেশা নেই। আদিত্য আলমারি বদলানোর কথা বলে। কারণ, আলমারি দেখে আদিত্যর মনে হয় না যে আমি একজন তারকা। কারণ, ছয় কি সাত বছর পর্যন্ত আমি জামাকাপড় বদল করি না। তবে নিজের প্রসাধনের খেয়াল রাখি।’
চলতি বছর ইয়ামি অভিনীত ‘আ থার্সডে’ ছবিটি ওটিটিতে মুক্তির পর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এবার টেলিভিশনের পর্দায় আসতে চলেছে ছবিটি। ২৪ জুলাই স্টার গোল্ড চ্যানেলে ইয়ামি, অতুল কুলকার্নি, নেহা ধুপিয়া, ডিম্পল কাপাডিয়া অভিনীত ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। থ্রিলার ছবিটি প্রসঙ্গে ইয়ামি বলেন, ‘এ ধরনের ছবির অংশ হতে পেরে আমি দারুণ খুশি। ‘আ থার্সডে’ ছবির গল্প অত্যন্ত সংবেদনশীল। সমাজের বুকে এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতেই থাকে। তাই মানুষ এ ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে। এ ছবির মাধ্যমে আমরা যে বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম, তা মানুষ বুঝতে পেরেছে। অভিনেত্রী হিসেবে ছবিটি আমাকে তৃপ্ত করেছে।’
এ ছাড়া চলতি বছর ইয়ামিকে দেখা গেছে দশবি ছবিতেও। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বচ্চন, নিমরত কাউর। এ ছাড়া সামনে ইয়ামিকে দেখা যাবে লস্ট, ওহ মাই গড টু ছবিতে। অন্যদিকে ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পরিচালক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন আদিত্য। প্রথম ছবি দিয়েই সেরা পরিচালক হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। সামনে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়ে আসতে চলেছেন তিনি।