‘না’ বলতে শিখেছেন রাধিকা
চরিত্রের মতো করে নিজেকে গড়েপিটে নিতে ওস্তাদ বলিউড নায়িকা রাধিকা আপ্তে। তাই গ্রাম্য বধূ থেকে পুলিশ অফিসার—সব চরিত্রেই তিনি সমান স্বচ্ছন্দ। ‘মনিকা, ও মাই ডার্লিং’ ছবিতে রাধিকাকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে। এই ছবিতে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে তিনি কী প্রস্তুতি নেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রাধিকা বলেন, ‘নির্ভর করে প্রজেক্টের ওপর। এই ধরুন, বিক্রম বেধা ছবির জন্য আমাকে সে রকম কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি। পরিচালকের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী কাজ করেছি। আর বাকিটা সেটে তৎক্ষণাৎ করেছি। কিন্তু ‘মনিকা, ও মাই ডার্লিং’ ছবির জন্য আমাকে রীতিমতো মহড়া দিতে হয়েছে। প্রতিদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা অনুশীলন করতাম। ‘ফোবিয়া’ বা ‘পার্চড’ ছবির জন্য আমাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। আবার আন্ধাধুন ছবির জন্য আমাকে কিছুই করতে হয়নি। তাই সবকিছু নির্ভর করছে চরিত্রের ওপর।’
রাধিকা তাঁর ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নামীদামি সব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। এসব পরিচালকের সান্নিধ্যে তিনি কতটা সমৃদ্ধ হয়েছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে এই বলিউড নায়িকা বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই এক। আমরা যেটা ভাবি করতে পারব না, শেষ পর্যন্ত আমরা সেটা করে ফেলি। চরিত্রটাকে রক্ত–মাংসের করে তুলি, যা মনে হয় বাস্তবধর্মী। আমার মনে হয়, অভিনেত্রী হিসেবে আমি আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছি শুধু ভালো পরিচালকদের জন্য নয়। এর পাশাপাশি লেখক, চিত্রনাট্যকার আর সহ-অভিনেতা, তাঁদের সবার এখানে অবদান আছে। কোনো চরিত্রকে পর্দায় বাস্তবায়িত করতে তাঁদের প্রত্যেকের প্রচেষ্টা আছে। আমার পারফরম্যান্সকে সুন্দর করে তুলতে তাঁদের প্রত্যেকের অবদান আছে। তবে নিঃসন্দেহে পরিচালকদের কাছ থেকে আমি প্রচুর শিখেছি।’
কোভিডের সময় থেকে চিত্রনাট্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু বেশি খুঁতখুঁতে হয়ে উঠেছেন রাধিকা। ‘একটা সময় ছিল, যা প্রস্তাব আসত, লুফে নিতাম। কিন্তু গত কয়েক বছরে ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে উঠেছি। কোভিডের সময় থেকে আরও বেশি হয়ে উঠেছি। গত দুই বছরে আমি মুখের ওপর “না” বলতে শিখেছি। অনেক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। জানি না, এটা ভালো না মন্দ,’ বলেন রাধিকা।
তিনি আরও বলেন,‘ আমাকে অনুপ্রাণিত করেনি, এমন ছবি করতে করতে আমি এখন ক্লান্ত। আমি এখন এমন প্রকল্প বেছে নিচ্ছি, যা আমাকে আগামী দিনে কাজে যেতে উৎসাহিত করবে।’