একই অঙ্গে এত রূপ!

অদা শর্মা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘একটা ছবি বা ওয়েব সিরিজে দুটি বা তিনটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু একসঙ্গে ১০টি চরিত্র! মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি,’ ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘রিতা সান্যাল’-এ নিজের অভিনীত চরিত্রগুলো সম্পর্কে বলছিলেন অদা শর্মা। এই ক্রাইম–থ্রিলার সিরিজে একসঙ্গে ১০টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী।

অদা শর্মা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অদা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এমন স্বপ্ন কখনো দেখিনি যে একটা প্রকল্পে ১০টি চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। আর এমন এক সুযোগ কেই–বা হাতছাড়া করতে চাইবে। তাই সিরিজের প্রস্তাব আসামাত্র লুফে নিয়েছিলাম। এ ধরনের চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি। তাই আমার জন্য এটা ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা।’

জানতে চেয়েছিলাম, ১০টির মধ্যে কোনটি তাঁর পছন্দের চরিত্র? বললেন, ‘কখনো এ চরিত্রটা পছন্দ হতো তো পরে মনে হতো, নাহ, আরেকটা সেরা। শুধু আমার নয়, সেটে সবারই এ রকম মনে হতো। তবে দু-একটি চরিত্র নিশ্চয় বিশেষ পছন্দের ছিল। মাছওয়ালির চরিত্রটা বেশ উপভোগ করেছি। আর ফুড ইন্সপেক্টরের চরিত্রের জন্য আমাকে ১২০ কিলোগ্রাম ওজন দেখানোর প্রয়োজন ছিল।

অদা শর্মা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

এ জন্য আমি ফ্যাটস্যুট পরেছিলাম। তার ওপর শাড়ি পরেছিলাম, তাই খুব মজা লাগছিল। ওয়েটারের চরিত্রের জন্য বলিউডের এক অভিনেত্রীর কণ্ঠস্বর নকল করেছিলাম। আমার দারুণ লেগেছে।’

এই ১০ চরিত্রের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র কী ছিল, জানতে চাইলে অদা বলেন, ‘সহজে চরিত্রের মতো হয়ে ওঠার মধ্যে আসল মজা আছে। কোনো চরিত্রের মধ্যে যদি আপনার পরিশ্রম ধরা পড়ে, তাহলে তা ভালো নয়। একটা চরিত্রের জন্য রাতভর ঘুমাতে পারিনি। পর্দায় দেখে যেন মনে হয়, আপনি কত সহজে চরিত্রের মতো হয়ে উঠেছেন। আমার মনে হয়, কোনো চরিত্রে যখন অভিনেতার পরিশ্রম ধরা পড়ে না, তখনই তিনি সফল।’

অদা অভিনীত ‘বস্তর: দ্য নকশাল স্টোরি বক্স’ অফিসে সে অর্থে সফলতা পায়নি। এ ছবির ব্যর্থতা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘হিট বা ফ্লপ আমাদের হাতে নেই। আমরা শুধু পরিশ্রম আর সততার সঙ্গে আমাদের কাজটা করি।’

আরও পড়ুন

নিজের অভিনয়জীবনের প্রসঙ্গে অদা বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা উপভোগ করছি। একজন অভিনেতা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে অভিনয় করতে চান, আমি এখন সেই সুযোগ পাচ্ছি। এ বছর মুক্তি পাওয়া আমার চতুর্থ প্রকল্প “রিতা সান্যাল”। “১৯২০” ছবির কথাও বলতে চাই। কারণ, ছবিটা আমাকে দর্শকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। আমাদের এখানে প্রচুর প্রতিভাবান অভিনেতা আছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্য থেকে আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তাই আমি কৃতজ্ঞ।’