ধর্মেন্দ্রর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, দিল্লি আদালতের সমন

ধর্মেন্দ্রএক্স থেকে

আইনি ঝামেলায় ফেঁসেছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। প্রবীণ এই অভিনেতার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি আদালত সমন পাঠিয়েছেন তাঁকে।
ধর্মেন্দ্র আর দুই ব্যক্তিকে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালত সমন পাঠিয়েছেন। দিল্লির ব্যবসায়ী সুশীল কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মেন্দ্রকে সমন পাঠানো হয়েছে। ব্যবসায়ীর অভিযোগ যে ধর্মেন্দ্রর রেস্তোরাঁ গরম ধরম ধাবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘিরে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সুশীল কুমারের অভিযোগের পর বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট যশদীপ চহল সমন পাঠিয়েছেন। অভিযোগ, গরম ধরম ধাবাতে বিনিয়োগের নামে তাঁকে ভুল পথে চালনা করা হয়েছে।

৫ ডিসেম্বর বিচারক জানিয়েছেন, অভিযোগকারী ব্যক্তি যে তথ্য-প্রমাণাদি দিয়েছেন, এর থেকে জানা গেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের লাভের জন্য প্রতারণা করেছেন।

ধর্মেন্দ্র। ছবিঃ ইনস্টাগ্রাম

আদালত আদেশ দিয়েছেন যে ধর্মেন্দ্র আর দুই ব্যক্তিকে আইপিসির প্রতারণার ধারা ৪২০, চক্রান্তের ধারা ১২০বি, আর ধারা ৩৪ অনুযায়ী আদালতে পেশ করা হোক। আদালত আরও জানিয়েছেন যে গরম ধরম ধাবার লোগো দেওয়া চিঠি এবং অন্যান্য নথিপত্র দেখে জানা গেছে যে লেনদেনে রেস্তোরাঁটি যুক্ত ছিল। ধর্মেন্দ্রর রেস্তোরাঁ ফ্র্যাঞ্চাইজি গরম ধরম ধাবা অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিভিন্ন জায়গায় এই রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। গরম ধরম ধাবাতে গেলে ধর্মেন্দ্রর নানা ছবি এবং তাঁর সিনেমার রংবাহারি পোস্টার দেখা যায়।

এবার এই মামলার পেছনের ঘটনাটি জানা যাক। ধর্মেন্দ্রর দুই সঙ্গী ২০১৮ সালে ব্যবসায়ী সুশীল কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এই দুই ব্যক্তি সুশীল কুমারকে উত্তর প্রদেশের এনএইচ২৪ এবং এনএইচ৯-এ গরম ধরম ধাবা খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দিল্লির ব্যবসায়ীকে এই বলে ‘লোভ’ দেখানো হয়েছিল যে দিল্লির কর্ণটপ্লেস এবং হরিয়ানার মুরথলে রেস্তোরাঁর ব্র্যাঞ্চ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০-৮০ লাখ রুপির ব্যবসা হয়। সুশীল কুমার জানিয়েছেন যে তাঁকে ৪১ লাখ রুপি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। আর এই বিনিয়োগের ওপর তাঁকে ৭ শতাংশ মুনাফা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল বলে ব্যবসায়ীর অভিযোগ। ধাবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘিরে ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে সুশীল কুমারের বেশ কয়েকবার মিটিং এবং ই–মেইল মারফত কথাবার্তা হয়েছিল। দিল্লির ব্যবসায়ীকে বলা হয়েছিল, ৬৩ লাখ রুপি এবং তার সঙ্গে কর দেওয়ার কথা।

সানি দেওল, ধর্মেন্দ্র ও ববি দেওল। ছবি : সানি দেওলের ইনস্টাগ্রাম থেকে

আর রেস্তোরাঁর জন্য জমির বন্দোবস্তের কথা সুশীল কুমারকে বলা হয়েছিল। ব্যবসায়ীর কথায়, ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে এক কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল। এই কাগজে ব্যবসা–সংক্রান্ত সব শর্ত লেখা ছিল। সুশীল কুমার প্রায় ১৮ লাখ রুপির একটি চেক দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চেকটি ভাঙিয়ে নগদ রুপি নিয়েছিলেন। আর তার পর থেকে সুশীল কুমারের ফোন ধরা, তাঁর সঙ্গে দেখা করা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে রেস্তোরাঁ নির্মাণের জন্য জমি কিনেছিলেন সুশীল কুমার। কিন্তু কখনো জমিটির সরেজমিন হয়নি। আর তাই সুশীল কুমারের অভিযোগ যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই আর্থিক প্রতারণা মামলার আগামী শুনানি ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হবে। এদিন ধর্মেন্দ্রকে আদালতে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছে।