শুরুতে বিশ্বাসই হচ্ছিল না...

আলেয়া এফ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

বড় পর্দায় মোটামুটি ভালোই ব্যবসা করেছে ‘শ্রীকান্ত’ ছবিটি। কিছুদিন আগেই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ওটিটিতে মুক্তির পরও অন্তর্জালে চর্চা চলছে সিনেমাটি নিয়ে। ভারতীয় শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোলার জীবনের আধারে নির্মাণ করা হয়েছে এ ছবিটি। শ্রীকান্ত ছিলেন জন্মান্ধ। তুষার হীরানন্দানি পরিচালিত এই ছবিতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় দেখা গেছে রাজকুমার রাওকে।

আলেয়া এফ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

শ্রীকান্তের স্ত্রী স্বাতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলেয়া এফ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এ ধরনের আত্মজীবনীমূলক ছবির প্রতি তিনি আগ্রহী বেশি।

চলচ্চিত্রে নিজের পছন্দের ঘরানার প্রসঙ্গে আলেয়া জানিয়েছেন, ‘আমি সব সময় এমন ছবির অংশ হতে চাই, যা সুন্দর বিষয় নিয়ে নির্মিত। বায়োপিক ও প্রেরণাদায়ী গল্প আমার বেশি পছন্দ। “শ্রীকান্ত” এমনই এক ছবি, যা দর্শক হিসেবে আমিও দেখতে ভালোবাসব। তাই এ ছবিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এই ছবির গল্প সত্যি সুন্দর।’

আলেয়া শুরুতে জানতেন না ছবিটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে নির্মিত। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি প্রথমে জানতাম না যে এই ছবিতে যা দেখানো হয়েছে, তা বাস্তবে সত্যিই ঘটেছিল। আমার তো শুরুতে বিশ্বাসই হচ্ছিল না।

আরও পড়ুন

শ্রীকান্তের জীবনকথা শুনে আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ছিলাম। পরে শ্রীকান্তের সঙ্গে দেখা করেছি। শ্রীকান্তকে ঘিরে রাজকুমারের ভ্রমণের আমি সাক্ষী। রাজকুমার পর্দায় পুরোপুরি শ্রীকান্ত হয়ে উঠেছিলেন। রাজকুমার শুধু অভিনেতা হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও দুর্দান্ত।’

আলেয়াকে খুব বেশি সিনেমায় দেখা যায় না। কোনো প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয় মাথায় রাখেন—জানতে চাইলে আলেয়া জানান, ‘আমি তখনই সে প্রকল্প করতে আগ্রহী হই, যখন আমি অন্তরের ডাক শুনতে পাই।

সিনেমার দৃশ্যে আলেয়া ও রাজকুমার। আইএমডিবি

আমি চাই এমন এসব প্রকল্পের অংশ হতে, যা আমার থেকে একদম আলাদা। আমাকে যেন সেই চরিত্রটা চ্যালেঞ্জ জানায়। চরিত্রটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে আমি যেন নিজের অভিনয়দক্ষতাকে আরও বাড়াতে পারি। এমন সব কাজের অংশ হতে চাই, যা দিন শেষে অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে তৃপ্ত করবে।’