‘নির্লজ্জভাবে’ আমিরের স্টারডমকে ব্যবহার করেন কিরণ!
কিরণ রাও, বলিউড ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খানের সাবেক স্ত্রী। বিচ্ছেদের পরও তাঁদের সম্পর্ক ঠিক আগের মতোই উজ্জ্বল-প্রাণবন্ত। যেকোনো কিছুতেই আমিরের পাশে সব সময় থাকেন সাবেক স্ত্রী কিরণ। আর কিরণের পাশে সদা হাস্যোজ্জ্বল আমির খান। ক্যামেরার সামনেও পুরোদস্তুর বন্ধুর মতোই ধরা দেন তাঁরা। যদিও বিচ্ছেদের পর তাঁদের এই ভালোবাসা চোখে দেখতে এবং মানতে নারাজ নিন্দুকেরা।
বর্তমানে ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন কিরণ রাও ও আমির খান। কিরণের পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। ছবির প্রচারে গিয়ে কিরণ রাও বলেন, ‘তাঁর সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আছেন আমির খান। সাবেক স্বামীর সমর্থন ছাড়া কোনো কাজই করেন না তিনি।’ শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিরণ বলেছেন, লাপাতা লেডিসের প্রচারে কোনো ধরনের লজ্জা ছাড়াই সাবেক স্বামী আমিরের ‘স্টারডম’কে ব্যবহার করেছেন তিনি। এটা করেছেন শুধু তাঁর ছোট্ট সিনেমাটি যাতে ভালো ব্যবসা করে বক্স অফিসে।
বলিউড বাবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরণকে প্রতিবেদকের প্রশ্ন-ছবির প্রচারে আমির খানের তারকাখ্যাতি কোনো সাহায্য করেছে কি না? এ সময় কিরণের সোজাসাপটা উত্তর, ‘অবশ্যই! আমি তাঁকে পুরোপুরিই ব্যবহার করেছি। যখনই পেরেছি তাঁর তারকাখ্যাতিকে নিজের সুবিধামতো ব্যবহার করেছি (হাসি)। যেমন আমি ওকে বলি, তুমি এখানে আছো যখন একটু দাঁড়াও! আমাদের সাথে তিনটি ছবি তোলো।
কারণ, আমরা ছোটখাটো একটি ছবি বানিয়েছি। কিন্তু সেটার প্রচারে সবাইকে যখন বলব, দেখুন, এই সিনেমাটি আমির বানিয়েছেন, তখন সেটা অনেকে দেখবেন। আমি তাঁকে ‘‘নির্লজ্জভাবেই’’ ব্যবহার করতে পারি’।
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে অভিনয় করেছেন রবি কিষাণ। যদিও চরিত্রটির জন্য আমির খানই ছিলেন কিরণের প্রথম পছন্দ। তবে অডিশনে আমিরের চেয়ে বেশি ভালো করেন রবি কিষাণ। আর এতেই বাদ পড়ে যান আমির। ‘লাপাতা লেডিস’-এর যৌথ প্রযোজনায় আছেন আমির খান, কিরণ রাও এবং জিও স্টুডিওজ।
২০০১ সালে আমিরের ‘লগন’ সিনেমার সহ-পরিচালক ছিলেন কিরণ রাও। পরে ২০১০ সালে প্রথমবার এককভাবে ‘ধোবি ঘাট’ সিনেমার পরিচালনা করেন কিরণ। সিনেমার সুবাদেই আমিরের সাথে মন দেওয়া-নেওয়া কিরণের। সংসারও পেতেছিলেন। যদিও এখন দুজনের পথ দুদিকে। তবে এখনো পরিচালনা-সিনেমার সুবাদেই তাঁরা একে অন্যের পরিপূরক।
শুধু কিরণ রাও নন, সাবেক স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গেও আমিরের সম্পর্ক খুবই ভালো। মেয়ে ইরা খানের বিয়েতে বাবা-মায়ের দায়িত্ব সমানভাবে পালন করেছেন আমির এবং রিনা। ছেলে আজাদসহ উপস্থিত ছিলেন কিরণ রাও। নেচেগেয়ে বিয়েতে আনন্দ করেছেন তাঁরা। এক সাক্ষাৎকারে আমিরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কিরণ বলেছিলেন, ডিভোর্স হলেও তাঁরা এখনো একই পরিবারের মানুষ এবং খুব ভালো বন্ধু। এখনো একই কমিউনিটিতে থাকেন সবাই। নিজেদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ গল্প-আড্ডা সবই হয়।