ক্যাম্পাস জীবনের সব গল্প উঠে এসেছে যে সিনেমায়
শিক্ষাজীবনের বিশ্ববিদ্যালয় পর্বে কত ঘটনাই না ঘটে। অনেকেই পড়তে আসেন আপনজনকে ছেড়ে। নতুন শহর, নতুন মানুষ সব মিলিয়ে শুরু হয় জীবনের এক নতুন অধ্যায়। অম্লমধুর ঘটনা, আনন্দ ও বেদনার মধ্য দিয়ে দিন এগোতে থাকে। ঘটনাবহুল বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের প্রায় প্রতিটি বিষয়ই উঠে এসেছে বিনীত শ্রীনিবাসের মালয়ালম সিনেমা ‘হৃদয়ম’-এ।
একনজরে
সিনেমা: ‘হৃদয়ম’
জনরা: রোমান্টিক ড্রামা
স্ট্রিমিং: ডিজনি প্লাস হটস্টার
পরিচালক: বিনীত শ্রীনিবাসন
অভিনয়: প্রণব মোহনলাল, কল্যাণী প্রিয়দর্শন, দর্শনা রাজেন্দ্রন
র্যাগিং
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের অন্যতম পরিচিত একটি শব্দ ‘র্যাগিং’। কমবেশি সবাইকে বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে তীব্রতার মাত্রা সীমাও ছাড়িয়ে যায়। কারও কাছে র্যাগিং সয়ে নেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় উপায়ও থাকে না। কেউ কেউ আবার প্রতিবাদ করে বিজয়ীও হয়ে যায়। সিনেমাটির নায়ক অরুণ তেমনই একটি চরিত্র। যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। আর তাঁকে সমর্থন জানায় দর্শনা। আর এর মধ্য দিয়েই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের।
বিরহ
ভালোবাসার অপর পিঠে থাকে বিরহ। বিরহ ছাড়া ভালোবাসা মধুর হয়ে ওঠে না। বিরহ আছে বলেই ভালোবাসার এত কদর। অবধারিতভাবে গল্পের ধারাবাহিকতায় অরুণ, দর্শনার পরিণত প্রেমেও বিরহ আসে। তবে বিরহ তাদের ভালোবাসাকে মধুর করে তোলেনি, ইতি ঘটিয়েছে।
ভুল
জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই নানা ভুল মিলেমিশে থাকে। তাই তো চকিতে আমরা বলে উঠি, ‘আরেকবার যদি সুযোগ পেতাম’।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের অন্যতম ভুল হচ্ছে পড়ালেখার প্রতি যত্নবান না হওয়া। পক্ষান্তরে ‘সিজিপিএ’–এর গুরুত্ব অনুধাবন না করা। বিষয়টি সিনেমাটিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
বন্ধুত্ব
হৃদয়ম মূলত বন্ধুত্বেরই গল্প। ক্যাম্পাসের প্রতিটি ঘটনা, দুর্ঘটনায় বন্ধুরা কীভাবে পাশে থাকে, ক্যাম্পাস ছেড়ে আসার পর বন্ধুদের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব, অনেক পরে তাদের সঙ্গে পুনর্মিলনের আনন্দ—সবই উঠে এসেছে এ সিনেমায়।
ব্যর্থতা
সব সময় সব পরিকল্পনা, চাওয়া পূর্ণ হয় না। সিনেমায় দর্শনার সঙ্গে অরুণের সম্পর্কের ইতি ঘটে যাওয়া তেমনই ইঙ্গিত করে। এই যে চাওয়া পূর্ণ না হওয়া, পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়া, সব কি ভালোর জন্য ঘটে? সিনেমাটি দেখে অন্তর্জালের দর্শকের অনেকের মত সেদিকেই। দর্শনার পর অরুণের জীবনে আসে নিত্যা। সিনেমা থেকে এ দুজনের অভিনয়ের অনেক দৃশ্য ফেসবুকের রিলে, স্টোরিতে শেয়ার দিয়ে অনেকেই তেমন মত দিয়েছেন।
ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকানোর পর ‘এখন কী করবে, কী করছ’ ইত্যাদি প্রশ্ন আসে অবধারিতভাবেই। সিনেমাটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। নায়ক চাকরিতে যোগ দিয়েও ভালো না লাগায় চাকরি ছেড়ে দেয়। পরে নিজের পছন্দের একেবারে ভিন্ন একটি কাজে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করে।