অভিনেত্রীকে হয়রানির অভিযোগে ভারতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানিঅভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম

জমি নিয়ে বিবাদের মামলায় পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি। তাঁর দাবি মিথ্যা অভিযোগে অভিনেত্রী ও তাঁর বাবা-মাকে ৪৩ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেই মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সূত্র দ্য হিন্দু। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন তৎকালীন পশ্চিম জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ (এসিপি) হনুমন্ত রাও এবং ইব্রাহিমপত্তনম থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর এম সত্যনারায়ণ। বর্তমানে হনুমন্ত রাও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে এবং সত্যনারায়ণ বিজয়ওয়াড়ার গভর্নরপেট পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার হিসেবে কর্মরত।

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্স থানায় সজ্জন জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্তার’ অভিযোগ করার পর জেঠওয়ানিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরে ডিসেম্বরে আদালতের হস্তক্ষেপের পরে জিন্দালের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি
অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম

জেঠওয়ানির অভিযোগ, জিন্দালের বিরুদ্ধে ‘যৌন নির্যাতনের’ মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কান্তি রানা টাটা ও বিশাল গুন্নি তৎকালীন সরকারের প্রভাবে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁকে চুপ করে দিয়েছিলেন। তাঁদের আরোপিত কিছু শর্তে রাজি হওয়ার পরই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

এখানেই শেষ নয়, ফেব্রুয়ারি মাসে যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টির নেতা কুক্কালা বিদ্যাসাগর অভিনেত্রী ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ কাদম্বরী জেঠওয়ানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা এবং হেনস্তার বিষয়ে পুনঃ তদন্ত করছে। বিজয়ওয়াড়ার পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল ক্রাইম স্টেশন থেকে এসিপি শ্রাবন্তী রায়কে নিয়োগ করেছেন।

অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানি
অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, কাদম্বরী যখন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন, তখন হনুমন্ত রাও বিজয়বরাতে আসেন। এই মামলার তদন্তে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সিআই সত্যনারায়ণ ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যিনি মামলা তদন্ত না করেই নথিভুক্ত করেন।