‘কাল হো না হো’ সিনেমা ‘রাবিশ’, শাহরুখের মন্তব্য

কাল হো না হো ছবিতে সাইফ আলী খান, প্রীতি জিনতা ও শাহরুখ খানকোলাজ

বলিউডের কিং খান, বাদশাহ-পাঠান, মেগাস্টার বা সুপারস্টার! শাহরুখ খানের সঙ্গে যত বিশেষণই জুড়ে দেওয়া হোক না কেন, তা যেন কমই পড়ে যায়। সিনে ক্যারিয়ারে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এখনো। তাঁর একেকটি সিনেমার পেছনের গল্পগুলো অভাবনীয়, যা নিয়ে প্রায়ই প্রতিক্রিয়া দেখান পরিচালকেরা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান অভিনীত ‘কাল হো না হো’ ছবির পরিচালক নিখিল আদবাণী নায়ককে নিয়ে দেন চমকজাগানিয়া সব তথ্য। সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খানের কাজের পদ্ধতি, সবার সঙ্গে তাঁর মিষ্টি ব্যবহারের প্রশংসা করেন পরিচালক।

এই ব্যাপারটিই নাকি তাঁকে আরও বেশি করে সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলত। যদিও এসবের মাঝে একটি চমকপ্রদ তথ্যও ফাঁস করেন পরিচালক। তিনি বলেন, শাহরুখ খান প্রায়ই এক ছবির প্রশংসা করতে গিয়ে হাস্যকরভাবে অন্য ছবির সমালোচনা করে বসতেন।

শাহরুখ খান
ছবি: এএফপি

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, শাহরুখ একবার সঞ্জয় লীলা বানসালির সিনেমা ‘দেবদাস’-এর প্রশংসা করেন। ছবিটিকে অসাধারণ বলতে গিয়ে তখন শুটিং চলমান থাকা ‘কাল হো না হো’-সোজাসাপটাভাবে ‘রাবিশ’ বলেন। সমালোচনা-প্রশংসার ভারসাম্য বজায় রাখার এই কৌতুকপূর্ণ অভ্যাসটি সেই সময় অবাক করেছিল পরিচালককে।

গালাট্টা প্লাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিখিল বলেন, ‘মহাব্বতেন’ বা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির শুটিং-এর সময়ে ‘হে রাম’ ছবিতেও কাজ করছিলেন নায়ক। তখন আড্ডায় যোগ দিয়ে অন্য কাজের প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বর্তমান টিমের কাজ নিয়ে কৌতুকপূর্ণ সমালোচনা করতেন কিং খান।

তবে এত কিছুর পরও ‘কাল হো না হো’তে অভিনয়ের জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি শাহরুখ। এই ছবিতে অতিথি শিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাদশাহ। আর মূল চরিত্র করেছেন সাইফ আলী খান আর প্রীতি জিনতা।
২০০৩ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পায় ‘কাল হো না হো’। আর ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল দেবদাস। তাঁর নায়িকা পার্বতীর ভূমিকায় ছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। আর চন্দ্রমুখী মাধুরী দীক্ষিত।