নিচু জাতের বলে কটু কথা শুনতে হয়েছিল নওয়াজুদ্দিনকে, ছেড়েছিলেন গ্রামও

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীএএনআই

ভারতের গোয়ায় চলছে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার ৫৪তম আসর। এ চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। সেখানেই কথা বলতে গিয়ে জানালেন নিজের জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের নানা গল্প। গোয়া উৎসবে নওয়াজুদ্দিনের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

আরও পড়ুন

নওয়াজ জানান, বাস্তব জীবনে তিনি কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। চলচ্চিত্র উৎসবের অনুষ্ঠানে নওয়াজুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’, ‘বদলাপুর’ থেকে ‘রমন রাঘব ২.০’—পর্দায় তিনি বারবার নেতিবাচক চরিত্র বেছে নেন কেন?

অভিনেতা বলেন, আলাদা চরিত্রে একভাবে অভিনয় করা আর এক চরিত্রে আলাদাভাবে অভিনয় করার মধ্যে পার্থক্য আছে। তাঁর কাছে দ্বিতীয়টাই বেশি প্রাধান্য পায়।

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী
এএনআই

অভিনেতা এদিন বলেন, ‘আমি বুঝেছিলাম, ফয়জল খান বা রমন রাঘব ভীষণ আলাদা দুটো চরিত্র, তাদের চাহিদা আলাদা, দাবি আলাদা। ফলে দুটো চরিত্র একেবারেই আলাদা।’

মান্টোর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন এই চরিত্রের জন্য? এই প্রসঙ্গে উঠতেই অভিনেতা বলেন, তিনি নিম্ন জাতের বলে তাঁকে নানা কথা শুনতে হয়েছে, সেটাই তিনি মান্টোর ভাবনার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

নওয়াজের ভাষ্যে, ‘আমি নিচু জাতের আর সে জন্য আমি যখন গ্রামে থাকতাম, তখন অনেক খোঁচা শুনেছি। একটা দীর্ঘ সময় এই বাঁকা কথাগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছি, শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে চলে আসি। এরপর মুম্বাইতে যখন সেই মনোভাব, কষ্ট নিয়ে আসি, আমি তখনই এই চরিত্রটা পাই। সেই হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকার বিষয়টা এই চরিত্রে সঙ্গে যেন মিশে গিয়েছিল। এই চরিত্রটার মধ্যে দিয়ে যেন অনেক কিছু বলতে চাওয়া হয়েছিল। মান্টোও ওর প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চেয়েছিল, যা তাকে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। মান্টোর গোটা জীবনটাই একটা চেষ্টা ছিল। ও নিজে না পারলেও সবটা ওর ছেলেদের দিতে চেয়েছিল। কোথাও গিয়ে এটা যেন আমার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।’