মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক যৌন হেনস্তার অভিযোগ
একটি কিংবা দুটি নয়; অন্তত ১৭টির মতো যৌন হেনস্তার অভিযোগ জমা পড়েছে। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অনেকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে কেরালা সরকার। খবর এনডিটিভির
কেরালার হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন হেমা কমিটির এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ ভারতের মালয়ালম চলচ্চিত্রজগতে কীভাবে নারীদের যৌন হেনস্তা করা হয়, তা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর কেরালা উত্তাল হয়ে উঠেছে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেক ভুক্তভোগী অভিনেত্রী মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ‘মি টু’ ঝড়ের মধ্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে কেরালা সরকার। এতে এখন পর্যন্ত ১৭টির মতো অভিযোগ জমা পড়েছে।
অভিনেতা এম মুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী সোনিয়া মালহার। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে একটি সিনেমার শুটিংয়ের সেটে তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছেন এই অভিনেতা।
আরেক অভিনেত্রী মিনু মুনিরও এম মুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি জয়সুরিয়া, মানিয়ানপিল্লা রাজু ও ইদাভেলা বাবুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুকেশ।
আরেক পরিচালক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ দিয়েছেন টালিগঞ্জের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি বলেন, ‘নারীদের “না” বলা শেখা উচিত। তাঁরা কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষিত নন।’
অভিযোগের মুখে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির নীতিনির্ধারক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়ালম মুভি আর্টিস্ট (এএমএমএ) ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নৈতিক কারণে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা মোহনলাল।
হেমা কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজায়ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যৌন হেনস্তার প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।