নিজের পরিচয় গড়তে চান ফলক
অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিহারের মোজাফফরপুর থেকে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন ফলক খান। বেশ কয়েক বছর সংগ্রামের পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘চম্পারণ মাটন’ অস্কারের দৌড়ে শামিল হয়েছে। নিজের এই ফিল্মি ভ্রমণ নিয়ে আরও অনেক স্বপ্নে মশগুল এই নায়িকা।
মুম্বাইয়ে ছয় কি সাত বছরের সংগ্রামের পর অবশেষে একটু পরিচিতি হয়েছে অভিনেত্রী ফলক খানের। ‘চম্পারণ মাটন’ ছবির হাত ধরে আজ তাঁর এই পরিচিতি।
আজ ফলকের এই ছবি আন্তর্জাতিক আঙিনায় পৌঁছে গেছে। এই নবাগত অভিনেত্রী এ প্রসঙ্গে ফিল্মি বিটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি এই ছবির পুরো দলের কাছে কৃতজ্ঞ। এই সাফল্য আমাদের সবার কঠিন পরিশ্রমের ফলমাত্র।’
‘চম্পারণ মাটন’ ছবির পর অত্যন্ত আশাবাদী ফলক, ‘এই ছবির মাধ্যমে এখন আমি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছি। আর আমি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আশা করি, আগামী দিনে আমার সামনে অনেক বড় সুযোগ আসতে চলেছে। একজন অভিনয়শিল্পীর স্বপ্ন কমার্শিয়াল ছবিতে কাজ করার। আশা করি, আমার এই স্বপ্ন এবার পূরণ হবে। এখন আমি ভালো চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় আছি।’
এই সাক্ষাৎকারে ফলক জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে শাহরুখ খানের প্রভাব আছে। এই সুপারস্টারের সিনেমা দেখে তিনি চলচ্চিত্রজগতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
‘চম্পারণ মাটন’-এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি সরায়-এ কাজ করেছেন ফলক। এ ছাড়া বেশ কিছু ছবি ও ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি।
ফলক বলেছেন, ‘শুরুর দিকে নিজের প্রোফাইল বানানোর জন্য বেশ কিছু শোতে বিনা পারিশ্রমিকে আমি কাজ করেছি। তারপর ধীরে ধীরে কাজ পেতে শুরু করেছি।’ তিনি বলেছেন, ‘স্টার বা সুপারস্টার হওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবার মধ্যে থাকে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। তবে আমি চাই, আমাকে সু–অভিনেত্রী হিসেবে যেন সবাই চেনেন। শুধু নায়িকা হিসেবে নয়, একজন পারফরমার হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে চাই। মনোজ বাজপেয়ী বা পঙ্কজ ত্রিপাঠির কথাই ধরুন। শিল্পী হিসেবে তাঁদের প্রতি আমাদের মনে অত্যন্ত সম্মান আছে। আমিও এই স্তরে নিজেকে নিয়ে যেতে চাই।’