অনেক আলোচনার জন্ম দিয়ে গত মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘লাইগার’। এই প্যান ইন্ডিয়া ছবি ঘিরে অনেকেরই প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। কারণ, এই ছবিতে আছেন বিজয় দেবরাকোন্ডার মতো বড় তারকা। বিজয়ের অনুরাগী দক্ষিণ ভারত তো বটেই, সারা ভারতে ছড়িয়ে আছে। তার ওপর ‘লাইগার’ হিন্দি ছাড়া তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় ভাষতেও মুক্তি পেয়েছিল। ‘লাইগার’-এর বাড়তি আকর্ষণ ছিলেন বিশ্বখ্যাত বক্সার মাইক টাইসন। কিন্তু কোনো কিছুই ‘লাইগার’-কে ভরাডুবি থেকে রক্ষা করতে পারেনি। বক্স অফিসে চূড়ান্ত ব্যর্থ বিজয়ের ছবিটি। তাই শোনা যাচ্ছে, নিজের পারিশ্রমিকের কিছু অংশ বিজয় প্রযোজকদের ফিরিয়ে দেবেন।
২৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘লাইগার’। কিন্তু মাত্র কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ছবিটি হল থেকে পাততাড়ি প্রায় গুটিয়ে ফেলেছে। নির্মাতারা ধরেই নিয়েছিলেন ছবিটি বক্স অফিস মাত করবে। কিন্তু ক্রমাগত ছবিটির আয় পড়তে থাকে। তাই বক্স অফিস বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা ‘লাইগার’কে ফ্লপ ঘোষণা করেছেন।
বহুল আলোচিত ছবিটি ফ্লপ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নির্মাতা ও বিপণনকারীরা। তাঁদের কোটি কোটি রুপির লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছে। নির্মাতাদের এই দুরবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন স্বয়ং বিজয়। নির্মাতাদের লোকসান দেখে তিনিও হতাশ।
জোর গুঞ্জন, এই প্যান ইন্ডিয়ান তারকা নিজের পারিশ্রমিক থেকে ৬ কোটি রুপি বাংলাদেশি টাকায় ৭ কোটি টাকার বেশি নির্মাতাদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি চেষ্টা করছেন এই ক্ষতির অঙ্ক কিছুটা কমাতে। তবে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি বিজয় বা প্রযোজক।
বিজয়ের ভক্তরা অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বন্দনা করা শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বেশ কিছু অনুরাগী তো তাঁকে ‘চলচ্চিত্রজগতের আসল নায়ক’–এর তকমা দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, বিজয় শিগগিরই স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করবেন। এর আগে খবর ছিল, বিজয় ‘লাইগার’ ছবির জন্য ৩৫ কোটির মতো পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
‘লাইগার’ পরিচালনা করেছেন দক্ষিণের খ্যাতনামা পরিচালক পুরী জগন্নাথ। ছবিতে বিজয়ের নায়িকা অনন্যা পান্ডে। বক্সার মাইক টাইসনকে এই প্যান ইন্ডিয়া ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে। এদিকে পুরী জগন্নাথ ও বিজয়ের যুগলবন্দীর এখানেই শেষ নয়। সামনে তাঁরা আনতে চলেছেন নতুন ছবি ‘জন গণ মন’। কিন্তু জোর গুঞ্জন, ‘লাইগার’ ফ্লপের পর নাকি তাঁদের আগামী এই প্রকল্প বস্তাবন্দী হয়ে গেছে। ‘জন গণ মন’ ছবিতে বিজয়ের বিপরীতে পূজা হেগড়েকে দেখা যাবে বলে শোনা গিয়েছিল। এই ছবির দুটি শিডিউলের শুটিংও শেষ। তবে ছবিটি বন্ধ হওয়ার গুঞ্জন কতটা সত্যি, তা সময়ই বলবে।