বয়স কোনো সমস্যাই নয়

অবনীত কাউর

অবশেষে অবনীতের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর ছবির মূল চরিত্রে অবনীত। তবে একটাই সমস্যা যে অবনীতের ছবির নায়ক তাঁর থেকে বয়সে দ্বিগুণ বড়। তবে এ সবকিছুকে মোটেও সমস্যা হিসেবে দেখেন না অবনীত কাউর। বয়সের ব্যবধান নিয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই।
বেশ কিছুদিন ধরে ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবিটিকে ঘিরে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। আর হবে নাই-বা কেন? এই ছবির প্রযোজক অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত আর নায়ক নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। তবে এ সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে নওয়াজের সঙ্গে অবনীতের নতুন জুটির কথা। নওয়াজকে তাঁর হাঁটুর বয়সী নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে। অবনীত আর নওয়াজের বয়সের ব্যবধান ২৭ বছর। এই ব্যবধান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অবনীত এসব প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিয়েছেন।

২০ বছরের এই বলিউড অভিনেত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি পুরুষ ও নারী অভিনেতার বয়সের ব্যবধানকে কখনো বাজেভাবে দেখি না। যেকোনো বয়সের পুরুষের সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্য করতে আমার কোনো সমস্যা নেই। এ বিষয় নিয়ে কেন এত কথা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমি অবশ্য অনেক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এর আগে অনেক ছবির ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটেছে। কঙ্গনা ম্যাম শুরুতেই বলেছিলেন যে এটা ছবির জন্য জরুরি। আর আমি সম্মতি দিয়েছিলাম।’

অবনীত কাউর

অবনীত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দারুণ জনপ্রিয়। এই মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন। অনেকের মতে, এই জনপ্রিয়তার জোরেই অবনীত প্রযোজক কঙ্গনার ছবিতে সুযোগ পেয়েছেন।

অবনীত কাউর

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘চার বছর আগেও আমি জনপ্রিয় ছিলাম। লাখ লাখ ভক্তের জোরে কোনো প্রকল্প যদি আমি পেয়ে থাকি, শেষ পর্যন্ত নিজের প্রতিভাই কাজে এসেছে। একটা ছবির মূল চরিত্রে সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। দর্শককে দেখাতে চাই যে আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। আমি তাদের বলতে চাই যে আমিও সুযোগের সন্ধানে ছিলাম। আমার বিশ্বাস, আমার ভেতরেও প্রতিভা আছে। আর তারই জোরে আমি নিজের পরিচয় গড়ে চলতে চাই।’

অবনীত কাউর

মাত্র আট বছর বয়সে গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন অবনীত। ২০১০ সালে নাচের রিয়েলিটি শো ‘ড্যান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স লিটল মাস্টার’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর টেলিভিশন দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা পান তিনি। ‘কারিব কারিব সিঙ্গেল’ আর ‘মারদানি’ ছবিতে অবনীতকে ক্যামিও হিসেবে দেখা গেছে। তবে একটা ভালো ছবির সন্ধানে ছিলেন এই নবাগতা নায়িকা। অবনীত চেয়েছিলেন ছবির মূল নায়িকা হিসেবে কাজ করতে। অবশেষে ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ সেই সুযোগ এনে দেয়। কঙ্গনা প্রযোজিত এই ছবির পরিচালক সাই কবির। এর আগে তিনি কঙ্গনার ‘রিভলবার রানি’ ছবির পরিচালক ছিলেন।

অবনীত কাউর