অবিরাম বেজে চলেছে অনন্যার মুঠোফোন
শুভেচ্ছাবার্তা যেন উপচে পড়ছে অনন্যার মুঠোফোন থেকে। অবিরাম বেজেই যাচ্ছে ফোনটা। নিশ্চয়ই প্রশংসা করতেই ফোন করেছে কোনো চেনা মানুষ। শকুন বাত্রা পরিচালিত গেহরাইয়াঁ ছবিটি নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে দীপিকা পাড়ুকোন আর অনন্যা পান্ডের অভিনয় নিয়ে কেবলই পাওয়া যাচ্ছে প্রশংসা আর প্রশংসা।
১১ ফেব্রুয়ারি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে গেহরাইয়াঁ। এখানে টিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্যা। দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি। সবার প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই ছবির জন্য আমি এমন সব প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, যা আমাকে অত্যন্ত আনন্দ দিয়েছে। আমি রীতিমতো আপ্লুত। আমার ফোনের রিংটোন বেজেই যাচ্ছে। গেহরাইয়াঁ যেদিন মুক্তি পেয়েছে, সেদিন থেকে বেজেই যাচ্ছে ফোনটা। আমি অত্যন্ত খুশি যে অসংখ্য মানুষ টিয়ার সঙ্গে দারুণভাবে অনুরণিত হয়েছে।’
গেহরাইয়াঁ ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের অভিনয় মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। দীপিকার মতো দাপুটে অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করে দারুণ খুশি বলিউড তারকা চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা। কিছুদিন আগে এই তারকাকন্যা প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির সঙ্গে এক আলাপচারিতায় কথা বলেছিলেন দীপিকা প্রসঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, ‘দীপিকা বাইরে যেমন সুন্দর, তাঁর অন্তরটা একই রকম সুন্দর। দীপিকার সবচেয়ে বড় গুণ তিনি নিজেকে বদলাননি। প্রথম ছবির সময় দীপিকা যেমন ছিলেন, আজও সে রকমই আছেন। তাঁর কাজের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা, প্রাণশক্তি সব আগের মতোই আছে। আজও তিনি সবার আগে সেটে পৌঁছান। শুটিংয়ের আগে প্রচুর অনুশীলন করেন। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রচুর ওয়ার্কশপ করেছেন। নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে ভীষণ আগ্রহ তাঁর। শুটিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে থাকতে থাকতে মনে হয়েছিল, আমরা যেন একই পরিবারের সদস্য। মনে হতো আমরা দুই বোন।’
অনন্যার সবচেয়ে বড় সমালোচক কে? তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই নিজের কাজের সমালোচক। মা–বাবাও মাঝেমধ্যে সমালোচনা করেন। তবে তাঁদের কখনো কখনো আমার জীবনে “চিয়ারলিডার্স”-এর ভূমিকায় দেখা যায়। আমার বোন রায়সা বড় হয়ে নির্মাতা হতে চায়। সে অবশ্য আমার কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। আমার কাজের খুঁটিনাটি নিয়েও সে সমালোচনা করে।’
গেহরাইয়াঁ ছবিতে দীপিকা, অনন্যা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, রজত কাপুর, নাসিরুদ্দিন শাহ প্রমুখ। আমাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।