বিষণ্নতা থেকে বাঁচিয়েছিল 'ক্যাপ্টেন মার্ভেল'
মাত্র ৩০ বছরেই হাতে সোনালি অস্কারের স্পর্শ পাওয়া তারকার সংখ্যা হাতেগোনা। রুমখ্যাত হলিউড তারকা ব্রি লারসন তাঁদেরই একজন। টাইম ম্যাগাজিন হিসাব–নিকাশ করে বলেছে, তিনি বর্তমান বিশ্বের ১০০ সেরা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের একজন। তিন দশক দীর্ঘ জীবনে যাঁর এত অর্জন, তিনিও কিনা ভুগেছেন বিষণ্ণতায়! আর ব্রিকে বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দিয়েছিল ক্যাপ্টেন মার্ভেল।
লকডাউনে অন্য অনেকের মতোই ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন ব্রি লারসন। মাত্র ২ দিন আগে ইউটিউবে তাঁর প্রথম ভিডিওতে তিনি কথা বলেছেন নিজের উদ্বিগ্নতা আর বিষণ্ণতা নিয়ে। দুই দিনে ব্রির চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ভক্ত। ভিডিওতে ব্রি তাঁর বন্ধু, সহকর্মী ও অন্য প্রতিষ্ঠিত ইউটিউবারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরামর্শ নিয়েছেন।
ক্যাপ্টেন মার্ভেল ও অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম তারকা ব্রি লারসন জানিয়েছেন, নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছ থাকবেন। ভক্তরা তাঁকে সরাসরি জানতে পারবেন। ২১ মিনিটের ওই ভিডিওতেই ব্রি জানিয়েছেন, তাঁর বিষণ্ণতার কথা। জানিয়েছেন, তিনি মাসের পর মাস ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। সেই সময় ক্যাপ্টেন মার্ভেল–এর মতো সুপারহিরো সিনেমা তাঁর মানসিক অবস্থার উন্নতি করেছিল।
যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন ব্রি। কারণ নিয়ে ব্রির বক্তব্য, ‘আমার অ্যাজমা আছে, আর আমি অন্তর্মুখী স্বভাবের। অনেক মানুষের ভেতর আমার গলা শুকিয়ে আসে। নিজেকে বেঢপ আর জবুথবু লাগে। সেই সময়ে ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছবিটি আমাকে সামাজিক উদ্বিগ্নতা আর বিষণ্ণতা থেকে মুক্ত করতে অনেকটা সাহায্য করেছিল। এ রকম একটা সুপাহিরো চরিত্রই যেন আমি খুঁজছিলাম নিজেকে আড়াল করার জন্য। এখন আমি বেশ আছি।’
ব্রি জানিয়েছেন, মানুষ তাঁকে সেভাবেই চেনে, যেভাবে পরিচালক তাঁকে দেখাতে চান। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যেমে সত্যিকারের ব্রি লারসনকে জানা যাবে।