কন্যা, বোনকে নিয়ে মিথিলার ঘরে শুটিং
এর আগে মিথিলা ও তাঁর বোন মিশৌরীকে একটি নাটকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এবার মিথিলার মেয়ে আইরাসহ তিনজন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন। নাম ‘খোলা জানালা’। শুধু তাই-ই নয়, চলচ্চিত্রটিতে ক্যামেরা চালিয়েছেন মিথিলার ভাই মাইমুন খান।
ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাতজন নির্মাতা সাতটি আলাদা গল্পে, আলাদা নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সিরিজ নির্মাণ করছেন। সিরিজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘরবন্দী সময়ের গল্প’। এর একটি ‘খোলা জানালা’।
মিথিলা, মেয়ে আইরা ও বোন মিশৌরী—এই তিনজন মিলে পর্দা ভাগাভাগি করা এই প্রথম।
মিথিলা জানালেন, শুটিংয়ে কিছুটা বিরক্ত হলেও কাজটি বেশ উপভোগ করেছে আইরা।
মিথিলা বলেন, ‘বাসায় থাকলেও আমি অফিস করি। আইরা অনলাইনে স্কুল করে। এর মধ্যে আবার শুটিং করলাম সবাই মিলে। তবে আইরা মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিল। বলছিল “মা স্কুল করি, হোমওয়ার্ক করি, এত কিছু করেও আবার শুটিং করতে হবে? ওহ! মা, আর পারি না।” হা হা হা..., শট দেওয়ার আগে কোনো কোনো সময় এভাবে বলেছে আইরা। তবে উপভোগ করেছে কাজটা। শটও ভালো দিয়েছে।’
মিথিলা আরও বলেন, ‘কাজটি পেশাদার কাজের মতো হবে না। প্রয়োজনীয় আলো ছিল না, ক্যামেরা ছিল না, ক্যামেরাম্যানও ছিল না। আমার ভাই মোবাইলে পুরো শুট করেছে। তাই কাজটি যেন ওই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখেন দশর্কেরা।’ তবে সম্পাদনা, মিউজিক ও গ্রাফিকসের কাজটি বেশ উন্নতভাবে করা হচ্ছে বলে জানান এই অভিনেত্রী।
করোনাকালে তিনজন মানুষের গল্প নিয়ে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নিজ ঘরে বসে ভিডিও কলে এটি নির্মাণ করলেন গৌতম কৈরি। এ ব্যাপারে এই নির্মাতা বলেন, ‘শুটিংয়ের আগে মিথিলাদের বাসার বিভিন্ন জায়গা ভিডিও করে মিথিলা আমাকে পাঠিয়েছিলেন। ভিডিওতে লোকেশন দেখে দেখে দৃশ্যগুলো সাজিয়েছিলাম। প্রতিটি দৃশ্যের পাশে ক্যামেরার ফ্রেম, লোকেশন চকআউট করে দিয়ে চিত্রনাট্য পাঠিয়েছিলাম মিথিলাকে। এতে করে তাঁরা কাজটি কিছুটা সহজভাবে করতে পেরেছেন। তা ছাড়া আমি ভিডিও কলে থেকে কিছুটা দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছি।’
গৌতম কৈরি আরও বলেন, নতুন অভিজ্ঞতা এটি। মুঠোফোনে ধারণ, ফোনেই নির্দেশনা, কাজটি সহজ ছিল না। তবে গল্পের তিনজনকেই এক বাসায় পাওয়াতে শুটটা করতে খানিকটা সুবিধা হয়েছে।
‘খোলা জানালা’ প্রযোজনা করছে আলফা আই স্টুডিওস। প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল জানান, ১৯ থেকে ২১ মে শুটিং হয়েছে। এখন সম্পাদনার কাজ চলছে।