'করোনাভাইরাসকে ধুয়ে-মুছে নিয়ে যাক কালবৈশাখী'
বিনোদন জগতে কাজ শুরু করার পর থেকেই নুসরাত ফারিয়ার কাছে পয়লা বৈশাখ মানেই হয়ে উঠেছিল এক কর্মমুখর ব্যস্ত দিন। প্রতিবছরই নববর্ষের দিন কোনো না কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। এবারও আগে থেকেই ঠিকঠাক করা ছিল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সব কিছু। কিন্তু হায়! সব থমকে গেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে বিনোদন জগতে কাজ করছি। একবারও পয়লা বৈশাখ নিজের মতো পরিকল্পনা করতে পারিনি। প্রতিবারই এই দিন কোনো না কোনো অনুষ্ঠান থাকত। এবারও ছিল, কলকাতায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সব বন্ধ।’
জরা, শোককে মুছে বাংলা বছর নতুন প্রত্যশা আর উদ্দীপনা নিয়ে শুরু হয়। এ বছর তো উদ্দীপনা আর আশার কথা খুব প্রয়োজন। তাই ফারিয়ার কাছে জানতে চাই তাঁর প্রত্যশার কথা। তিনি বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন একটা কালবৈশাখী এসে করোনাভাইরাসকে পৃথিবীকে থেকে ধুয়ে–মুছে নিয়ে যাক— এবারের নতুন বছরের প্রথম দিন এটাই প্রত্যাশা করছি।’
করোনা–আতঙ্কের মধ্যে দীর্ঘদিন চার দেয়ালে বন্দী নুসরাত ফারিয়া। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। বছরের প্রথম দিনটাও সেভাবে কাটানোর পরিকল্পনা তাঁর, ‘মা–বাবার সঙ্গে বাড়িতেই পান্তা–ইলিশ খেয়ে নতুন বছর শুরু করতে চাই।’ ফারিয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে সঙ্গে থাকতে পারছি। এর মধ্যে একটা বিষয় উপলব্ধি করলাম, আমরা কাজ নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকি, ভাবি, কাজই জীবন। কিন্তু কাজ আসলে আমাদের জীবনের একটা ছোট্ট অংশ। পরিবারই আমাদের শক্তি। নতুন বছরে এই মন্ত্রই সঙ্গে রাখার প্রত্যশা।’