ভাবনার বাথটাবে কেন কাকেরা গোসল করে
ভাবনাদের ছাদ দখল করে রেখেছে কাকের দল। তাদের জন্য সেখানে রাখা থাকে খাবার ও পানি। খাবার ফুরিয়ে গেলে তারা চিৎকার করে খাবার চায়। খাবারের পাত্র আবারও পূর্ণ করে দেওয়া হয়। বাসার ছাদে রাখা ছোট টাবে ভাবনা নয়, কাকেরা গোসল করে। কারণ, অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার প্রিয় পাখি কাক। যে কাকেরা সেখানে আসে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে ভাবনার। করোনাকালে ঘরবন্দী ভাবনা আঁকলেন এক কাকবন্ধুর ছবি। উপকরণ আইশ্যাডো, লিপস্টিক, আইলাইনার ও কাজল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সবাই যখন ঘরে, স্বেচ্ছাবন্দী ভাবনা তখন ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য উদ্গ্রীব। একটি লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন তাঁকে অনুরোধ করে মেকআপ করার ভিডিও পাঠাতে। বই পড়ে, কবিতা লিখে ক্লান্ত ভাবনা টেনে নেন মেকআপ বক্স। সেখান থেকে আইশ্যাডো, লিপস্টিক, আইলাইনার ও কাজল দিয়ে তিনি এঁকে ফেলেন একের পর এক ছবি। সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট করলে সবাই অভিনন্দিত করেন তাঁকে। একটি গাছের ছবি এঁকে ভাবনা লেখেন, ‘যেহেতু আমার কাছে রংতুলি নেই, তাই লিপস্টিক, আইশ্যাডো আর নেলপলিশ দিয়ে একটু সময় কাটানো।’ এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কি পাগল নাকি! এই দুঃসময়ে মেকআপ করে ভিডিও পাঠাব! ওগুলো দিয়ে বরং কিছু ছবি আঁকলাম। কাক, বুদ্ধ আমার প্রিয়।’
ছবিগুলোর জন্য দারুণ প্রশংসা পাচ্ছেন ভাবনা। মন্তব্য করে তাঁকে অভিবাদন জানাচ্ছেন তাঁর বন্ধুরা। ভাবনা বলেন, ‘অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ফোন করেছিলেন। আন্টি বলেছেন, আমি যেন আঁকাআঁকি চালিয়ে যাই। করোনা চলে গেলে মেকআপ সরঞ্জাম দিয়ে আঁকা ছবির একটা প্রদর্শনী করতে হবে। আমার সহকর্মী শামীম সরকার ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমী হামিদ, বন্যা ফুফু (অভিনেত্রী বন্যা মির্জা) খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন।’
শৈশব থেকে নাচ শিখেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সালে নির্মাতা অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় তাঁর। ছবিটিতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এর আগে অসংখ্য খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন ভাবনা। অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে পর্দায় বিচিত্র সব চরিত্র ফুটিয়ে তোলেন তিনি। এ ছাড়া গত তিন বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ভাবনার লেখা তিনটি উপন্যাস। ভাবনাকে শিগগিরই দেখা যাবে ‘সম্মান’ নামের একটি টেলিছবিতে।