করোনায় কারিনা খাচ্ছেন গাজরের হালুয়া
সারা দিন চরম ব্যস্ততার মধ্যে কাটে বিটাউন তারকাদের। আর তিনি যদি হন কারিনা কাপুর খান, তাহলে তো কথাই নেই। পরিবারে একে অপরকে সময় দিতে পারেন না। নিজের ইচ্ছেমতো সময় কাটাতে পারেন না তাঁরা। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বেশির ভাগ বলিউড অভিনয়শিল্পী গৃহবন্দী করে রেখেছেন নিজেকে। তবে এর ভরপুর মজা নিচ্ছেন বলিউড তারকা কারিনা কাপুর খান।
বেশ কিছু বলিউড তারকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ছবি পোস্ট করে জানাচ্ছেন তাঁরা কীভাবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিতে নিজের বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। মানে হোম কোয়ারেন্টিন কীভাবে পার করছেন তাঁরা। কারিনা জানিয়েছেন, তিনি নিজের বাসায় বেশ আরাম করছেন। জীবনসঙ্গী সাইফ আলী খান যখন চশমা চোখে ভারী, মোটা বইয়ে ডুবে আছেন, কারিনা তখন ইনস্টা নামের গ্রামে সদ্য বাঁধা বাসায় (পড়ুন, ইনস্টাগ্রামে সদ্য খোলা অ্যাকাউন্টে) বুঁদ হয়ে আছেন।
এই গৃহবন্দী দশা দারুণ উপভোগ করছেন পতৌদি পরিবারের এই পুত্রবধূ। এখানেই শেষ নয়। মনের আনন্দে খাচ্ছেন নিজের পছন্দের খাবার। সম্প্রতি বলিউডের এই নবাবপত্নী ইনস্টাগ্রামে একটা ছবি ও ছবির গল্প পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কারিনা গাজরের হালুয়া খাচ্ছেন। তবে গাজরের হালুয়ার চেয়েও মজাদার হলো ছবির ক্যাপশন। এই ক্যাপশন যেকোনো মিষ্টিপ্রেমীর হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। লিখেছেন, ‘মিষ্টি কেবল আপনার পেটের জন্য নয়, আপনার হৃদয়ের জন্যও দরকারি। আর বিশ্বাস করুন, আমার হৃদয় অনেক বড়।’
কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল যে কারিনা স্বামী সাইফ আলী খানের সঙ্গে নিজেকে বিচ্ছিন্ন (আইসোলেট) করেছেন। বাসার বাইরে পা রাখছেন না তিনি। আর সাইফও রাখতে দিচ্ছেন না। এমনকি আইপিএলের এক বিজ্ঞাপনের ছবির শুটিং বাতিল করেছেন বলিউডের বেবো। করোনার কারণে নিজের ছোট্টবেলার একটা ছবিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁর শরীরী ভাষা বললে, ‘না, না’। আর ক্যাপশনে লিখছেন, ‘এখন যখন কেউ আমার সঙ্গে করমর্দন করতে আসে।’ এক ঘণ্টায় ৩ লাখের বেশি লাইক জড়ো হয়েছে সেই ছবির নিচে।
সম্প্রতি কারিনা অভিনীত ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন ইরফান খান। করোনাভাইরাসের কারণে ছবিটি ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। যদিও প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচকদের। তাই ছবিটি আবার মুক্তির কথা ভাবা হচ্ছে।
অন্যদিকে করণ জোহরের ‘তখত’ ছবিতে কাজ করতে চলেছেন কারিনা। এ ছাড়া তিনি ব্যস্ত ছিলেন আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবির শুটিংয়ে। ছবিটি ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুক্তির কথা।