ক্ষমা চেয়েছেন সালমা
না মেখে তেল-সাবানের বিজ্ঞাপন করে কজন বিপদে পড়েছেন, জানা যায়নি। তবে উপন্যাস না পড়েই প্রশংসা করে বিপদে পড়েছেন সালমা হায়েক। এ জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন এই মেক্সিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় মার্কিন লেখিকা জেনিন কমেন্সের উপন্যাস ‘আমেরিকান ডার্ট’। মেক্সিকান এক নারী ও তাঁর ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে উপন্যাসের প্লট। মার্কিন লেখক স্টিফেন কিং থেকে শুরু করে অ্যানা প্যাচেট বইটির প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে বইটিকে নিজের বুক ক্লাবে জায়গা করে দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, গত শনিবার অ্যামাজনের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকায় ‘আমেরিকান ডার্ট’ চলে এসেছে চার নম্বরে।
গত সপ্তাহে বইটি হাতে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী সালমা হায়েক। পাশাপাশি অপরাহ উইনফ্রের প্রশংসা করে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভাষাহীনকে ভাষা দেওয়া ও ঘৃণার বিপরীতে ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।’ এরপর অনলাইনে শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। শুক্রবার ‘বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চাই’ লিখে দ্রুত আগের পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন সালমা। পরে তিনি লেখেন, ‘আমাকে এভাবে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এর অর্থ হচ্ছে আপনারা আমাকে চেনেন, গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বইটা না পড়ে, না দেখে এ নিয়ে কথা বলা আমার উচিত হয়নি।’
অন্যদিকে, অনেকেই বলছেন, বইটির প্রচারণা একটু বেশিই হয়ে গেছে। বেশ কজন মেক্সিকান-আমেরিকান লেখকের বরাত দিয়ে ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, ‘আমেরিকান ডার্ট’ বইটা মেক্সিকো সম্পর্কে ভুল তথ্যে ভরা। লেখিকা কমেন্স মেক্সিকান নন বিধায় সেসব তথ্য সঠিকভাবে তাঁর জানারও কথা নয়। সেটা তিনি বইয়ের ভূমিকায় স্বীকার করেও নিয়েছেন। বরং তিনি জানিয়েছেন, নিজের মতো করেই তিনি শরণার্থী বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন।
১৯৯৫ সালে ‘ডেসপারেডো’ ছবিটি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান সালমা হায়েক। এরপরও বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন এই মেক্সিকান-আমেরিকান রূপসী। এপি নিউজ