গভীর সমুদ্রে তিশা, মোশাররফ করিম, অপর্ণারা
বড় জাহাজের পাটাতন থেকে লাফ দিয়ে ছোট জাহাজে। এরপর মই বেয়ে আরেকটা জাহাজ। একটু এদিক–সেদিক হলেই সোজা সমুদ্রে। স্রোতের যে গতি, পড়লে নিমেষে নিখোঁজ!
অভিনয়শিল্পী অপর্ণা ব্যাখ্যা করছিলেন তাঁর চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্রের অভিজ্ঞতা। জাহাজ থেকে জাহাজে ছোটাছুটি করেছেন তাঁরা কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। কেউ কেউ ভয়ে করেছেন চিৎকার। দলে ছিলেন মোশাররফ করিম, তিশা, আরফানসহ আরও অনেকে। অনুভূতি একেকজনের একেক রকম। গত শনিবার সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তাঁদের কেটেছে গভীর সমুদ্রে।
চট্টগ্রামের মেয়ে অপর্ণার সমুদ্রের যাওয়ার অভিজ্ঞতা আগেই ছিল। তবে মোশাররফ করিম ও তিশার ছিল না। গতকাল সোমবার দুপুরে ভারতের মুম্বাই থেকে গভীর সমুদ্রের সেই অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, ‘চারদিকে পানি থই থই করছিল। বিরাট জাহাজটাকে মনে হচ্ছিল ছোট্ট একটা নৌকা, তাতে আমরা মাত্র কয়েকজন। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, তবে জাহাজ থেকে ওঠা–নামার বিষয়টা ছিল কিছুটা ভয়ের।’
‘সাঁতার যদিও জানি, তারপরও গভীর সমুদ্রে সেই জানা নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই’, বললেন অপর্ণা। তারপর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে কোস্টগার্ডের স্পিডবোটে করে দেড় ঘণ্টা ভ্রমণের পর পৌঁছাই গভীর সমুদ্রে। তারপর মই বেয়ে বড় জাহাজে। ওঠানামা করতে করতে জান বের হয়ে যাওয়ার অবস্থা। যে ১১ ঘণ্টা সমুদ্রে ছিলাম, তার ৬ ঘণ্টাই কেটেছে এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে ওঠা–নামা করতে করতে। নিরাপত্তারক্ষী যদিও ছিল, তারপরও সবার চোখে–মুখে আতঙ্কের ছাপ। স্পিডবোট যেখানে থেমেছে, সেখানে প্রবল স্রোত। তার মধ্যে দড়ি বেয়ে বড় জাহাজে উঠতে হচ্ছিল।’
অপর্ণা জানান, ভিয়েতনামের একটি জাহাজে চড়েছিলেন তাঁরা। পাথরবোঝাই সেই জাহাজে মজার খাবার ছিল। রাতে ফেরার সময় কুয়াশা। ভাটার কারণে স্পিডবোট ঘাটে ভিড়ল না। কীভাবে তীরে যাবেন?
তিশা বললেন, ‘এত বড় জাহাজে আগে কখনো উঠিনি। একটা সময় জাহাজের বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখি, আশপাশে কিছুই নেই। পানি আর পানি। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর শুধু জাহাজ।’
মোশাররফ করিম, তিশা, আরফান, অপর্ণা, সুজাত শিমুলকে নিয়ে নতুন একটি টেলিছবির শুটিংয়ের জন্য সেদিন গভীর সমুদ্রে কাটাতে হয়েছে সবাইকে। সুজাত শিমুল ছিলেন সবচেয়ে রোমাঞ্চিত। ঘাটে নেমেই ফেসবুকে সেসব ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আর মজাচ্ছলে আরফান আহমেদ বলেন, সমুদ্র সবার কাছেই প্রিয়, তবে যে সাঁতার জানে না, তার জন্য আরও বেশি প্রিয়। স্বর্ণমানব থ্রি নামের ওই টেলিছবি দেখা যাবে ২৬ জানুয়ারি চ্যানেল আই ও আরটিভিতে। টেলিছবিটি পরিচালনা করেছেন আবু হায়াৎ মামুদ ও নাট্যকার মইনুল খান।