বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় চুল গজাতে হবে: অর্জুন
>অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরার বিয়ে নিয়ে বিটাউনে ফিসফাস। তবে এখন বিয়ে নয়। সাফ জানিয়ে দিলেন এই বলিউড নায়ক। এখন অর্জুন ব্যস্ত পানিপথ ছবির শুটিংয়ে। আর এ জন্য মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছেন তিনি। শিগগিরই মুক্তি পাবে অর্জুন অভিনীত ছবি ইন্ডিয়াজ মোস্ট ওয়ান্টেড। মুম্বাইয়ের এক পাঁচ তারা হোটেলে বলিউড নায়ক অর্জুন কাপুরের মুখোমুখি হন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্য
আপনার নাকে কীভাবে চোট লাগল?
পানিপথ ছবির শুটিংয়ের সময় চোট পেয়েছি। আসলে এটা আমার প্রথম কস্টিউম ড্রামা ফিল্ম। তাই চেষ্টা করছি সেরা শটটা দিতে। নিজ থেকেই বলতাম আরেকবার শট নিতে। তাই শট নেওয়ার জন্য লোহার হেলমেট বারবার খোলা–পরার মধ্যে থাকতে হয়েছে। আর এই করতে করতে একসময় নাকে চোট লেগে গেছে।
আপনার আগের ছবি নমস্তে ইংল্যান্ড একদম চলেনি। এ বিষয়ে কিছু বলতে চান?
আমি জানি, আমার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি নমস্তে ইংল্যান্ড চলেনি। তবে এর আগে মুবারকা ভালো চলেছে। হাফ গার্লফ্রেন্ড ছবিটাও ব্যবসা করেছে। নির্মাতারা ভালো টাকা কামিয়েছিলেন। সব ছবি ১০০ কোটি রুপি ব্যবসা করবে, তার কোনো মানে নেই। বিরাট কোহলি সব বলে ছয় মারেন না। ভুল সবারই হয়। অসফলতার জন্য হতাশায় ভুগি না। আবার সফলতাকে মাথায় চড়তেও দিই না। আমি সব ছবি থেকে কিছু না কিছু শিখি। ব্যর্থতার জন্য কখনো ঘাবড়ে যাই না। আসলে আমি আমার জীবনে এত চড়াই–উতরাই দেখেছি যে ‘শুক্রবার’ (নতুন ছবি মুক্তির দিন) আমাকে ভয় দেখাতে পারে না। কখনো মনে হয় না যে এই ছবি না চললে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমার নিজের প্রতি আস্থা আছে।
তার মানে ব্যর্থতা আপনাকে স্পর্শ করে না?
ব্যর্থতা আমাকে স্পর্শ না করলে আমি অভিনেতা হতাম না। তার মানে এই নয় যে সব বিচার–বুদ্ধি হারিয়ে ফেলব। আর হতাশায় ডুবে যাব। বক্স অফিসের শুক্রবার আমার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমি আমার মতো করে সফল। আমি আমার জন্য কাজ করি। আমি আমার নিজের ছন্দে চলি। আমি নিশ্চয় চাই যেন আমার ছবি চলে। নির্মাতারা আমার ছবি থেকে যেন ভালো ব্যবসা করেন। তবে আমি এ–ও জানি যে সিনেমার সফলতা–ব্যর্থতা হলো একটা রিলেশনশিপের মতো। প্রেম ভেঙে গেলে খারাপ লাগে।
ইন্ডিয়াজ মোস্ট ওয়ান্টেড ছবির কোন দিকটা আপনাকে আকর্ষণ করেছে?
এই ছবির গল্প পড়ার আগে পর্যন্ত আমি জানতাম না অতীতে আসলে কী হয়েছিল। সিরিয়াল ব্লাস্টের বিষয়ে জানা ছিল। কিন্তু জানতাম না এর পেছনে কে ছিল। আমার মনে হয়েছে এই অকথিত কথা সবার জানা প্রয়োজন।
এই ছবির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
ইন্ডিয়াজ মোস্ট ওয়ান্টেড ছবিতে একজন সাধারণ মানুষ হওয়া জরুরি ছিল। আর এটা আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, আমি মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ছেলে। এই শহরে আমার বড় হয়ে ওঠা। আর এই ছবির দুনিয়া খুবই মধ্যবিত্ত পরিবারের। আমি আমার নায়কোচিত ব্যক্তিত্বকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। আর রাজেশ শর্মার মতো দুর্ধর্ষ অভিনেতার সঙ্গে তো কাজ করার মজাই আলাদা। তিনি বলেছিলেন আমি যেন পর্দায় অর্জুন কাপুরের মতো না দেখতে লাগি। আমি সেই চেষ্টাই করেছি এই ছবিতে।
আপনি আপনার ছবির বিষয়ে বাবা বনি কাপুর এবং চাচা অনিল কাপুর, সঞ্জয় কাপুরের পরামর্শ নেন?
আমি আমার ছবির ব্যাপারে বাবা-চাচা কারও মতামত নিই না। ছবি পছন্দ হলে আমি করি। আর যদি তাঁদের মতামত নিই, তার মানে ছবির ওপর আমার ভরসা নেই। নিজের প্রতি আস্থা থাকা জরুরি। এই জন্য আমি নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিই।
বলিউডের অলিতে–গলিতে আপনার বিয়ের খবর শোনা যাচ্ছে—
আমি আমার জীবনের কিছু লুকাইনি। বিয়ের কথা কী করে লুকাব? আমি বিয়ে করলে সবাইকে জানিয়েই করব নিশ্চয়। এখন আমি টাক হয়ে গেছি। তাই এই রূপে বিয়ের প্রশ্নই আসে না (সশব্দে হেসে)। ছেলেরা বিয়ের পর টাক হয়। বিয়ের আগে নয়। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় চুল গজাতে হবে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই যে আমি আমার জীবনে খুবই সুখকর একটা অবস্থায় আছি৷ আর এর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।