২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বন্ডের আবেদনময়ীরা

‘জিরো জিরো সেভেন’ তাঁর সংকেত নম্বর। দারুণ হ্যান্ডসাম আর হিংস্র এক গোয়েন্দা জেমস বন্ড। বিখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ইয়ং ফ্লেমিংয়ের কাল্পনিক চরিত্র। তবে শন কনারি, রজার মুর, টিমোথি ডাল্টন, পিয়ার্স ব্রসন্যান আর ড্যানিয়েল ক্রেগদের শরীরে তিনি বাস্তব হয়ে উঠেছেন বড় পর্দায়। উপন্যাসের জেমস বন্ডকে শেষ পর্যন্ত আর কাল্পনিক থাকতে দেয়নি চলচ্চিত্র, ভিডিও গেম বা কমিক বই। ঈর্ষণীয় এই চরিত্রের কবজির হাতঘড়িটা থেকে শুরু করে বাহুবন্দী প্রেমিকারাও চোখধাঁধানো। রূপবতী, আবেদনময়ী, বুদ্ধিমতী আর মারপিটে পারদর্শী এই বন্ড গার্লদের কাজ ছিল ছলে, বলে, কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ডকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা।

বন্ডগার্লরা জেমস বন্ডের মতো জনপ্রিয় নন। তবে তাঁদের নিয়েও আগ্রহ আছে বন্ডভক্তদের। বন্ডগার্ল হয়ে কখনো এসেছেন হলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের কেউ কেউ। আবার বন্ডগার্ল হওয়ার পর পরিচিতি পেয়েছেন অনেক অভিনেত্রী। একসঙ্গে দেখে নেওয়া যাক আবেদনময়ী এই বন্ডগার্লদের।

টেরি হ্যাচার
টেরি হ্যাচার

টেরি হ্যাচার
মার্কিন টিভি সিরিজ ‘ডেসপারেট হাউসওয়াইফস’ দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন টেরি। এই টেলিভিশন সিরিজের সুজান মেয়ার চরিত্রটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে আসন করে নেয়। তবে এর আগে তিনি হয়েছিলেন বন্ডগার্ল। বন্ড সিরিজের ‘টুমরো নেভার ডাইজ’ ছবিতে তিনি ছিলেন প্যারিস কার্ভার।

ফামকে ইয়ানসন
ফামকে ইয়ানসন

ফামকে ইয়ানসন
‘গোল্ডেন আই’ ছবিতে পিয়ার্স ব্রসন্যান প্রথমবারের মতো জেমস বন্ড হলেন। সৌন্দর্যের মোহে ভুলিয়ে বন্ডকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করলেন জেনিয়া অনাটপ্প ওরফে ফামকে ইয়ানসন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গুপ্তঘাতকের চরিত্র তিনি। পরে বিখ্যাত ‘এক্স-মেন’ সিরিজে ডক্টর জিন গ্রের ভূমিকায় অভিনয় করে হলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ফামকে ইয়ানসনকে আরও দেখা যায় ‘টেকেন ট্রিলজি’তে, লিয়াম নিসনের সাবেক স্ত্রীর ভূমিকায়। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সে ‘হেমলক গ্রোভ’ সিরিজেও দেখা মিলবে এই বন্ডগার্লের।

ডায়ানা রিগ
ডায়ানা রিগ

ডায়ানা রিগ
এখনকার দর্শকদের কাছে ‘গেম অব থ্রোনস’-এর লেডি ওলেন্না টাইরেল বেশ জনপ্রিয়। এই চরিত্র করার বেশ আগে ডায়ানা রিগ হয়েছিলেন বন্ডগার্ল। ১৯৬৯ সালের ‘অন হার ম্যাজিস্টিস সিক্রেট সার্ভিস’-এ তিনি ছিলেন ট্রেসি বন্ড। এরও আগে ১৯৬১ সালে ব্রিটিশ টিভি সিরিজ ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’-এও দেখা গেছে। তা ছাড়া ‘এভিল আন্ডার দ্য সান’, ‘জুলিয়াস সিজার’ বা ‘দ্য গ্রেট মাপেট কেপার’-এর মতো জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত ছবিগুলোতেও দেখা গেছে তাঁকে।

ওলগা করিলেঙ্কা
ওলগা করিলেঙ্কা

ওলগা করিলেঙ্কা
অনেক বন্ডভক্তই সিরিজের ‘কোয়ান্টাম অব সোলেজ’ ছবিটা তেমন পছন্দ করেননি। ওলগা করিলেঙ্কা সেই ছবিতে ক্যামেলি মনটেস, রুশ-বলিভিয়ান গোয়েন্দা কর্মকর্তা হয়ে খুঁজতে বের হন জেনারেল মাদরানোকে। বন্ডগার্ল হওয়ার আগে ওলগা কিছু ফ্রেঞ্চ সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু বন্ডগার্ল হওয়ার পর তিনি ‘সেঞ্চুরিয়ান’ বা ‘টু দ্য ওন্ডার’-এর মতো ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে তিনি টম ক্রুজ এবং মরগান ফ্রিম্যানের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর ছবি ‘ওবলিভিয়ন’ ছবিতে অভিনয় করেন।

মিশেল ইয়ো
মিশেল ইয়ো

মিশেল ইয়ো
মিশেল ইয়োকে মনে করা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা ও স্মরণীয় বন্ডগার্ল। বন্ড সিরিজের ‘টুমরো নেভার ডাইজ’ ছবিতে ওয়াই লিন নামের এক চীনা গুপ্তচরের ভূমিকার অভিনয় করে তিনি বন্ডভক্তদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। অবশ্য নিজের দেশ মালয়েশিয়া এবং হংকংয়ে আগে থেকেই তিনি অনেক বড় তারকা। এ ছাড়া তাঁকে অস্কার মনোনীত ‘ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন। ড্যানি বয়েলের অজনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক ‘হিডেন ড্রাগন’ ছবিতে দেখা যায় নন্দিত এই অভিনয়শিল্পীকে।

হ্যালি ব্যারি
হ্যালি ব্যারি

হ্যালি ব্যারি
হ্যালি ব্যারি বন্ডভক্তদের প্রিয় বন্ডগার্ল। ২০০২ সালে বন্ডের ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ মুক্তি পায়, যেখানে তিনি হয়েছিলেন পিয়ার্স ব্রসন্যানের নায়িকা। একই বছর তিনি ‘মনস্টার্স বল’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে অস্কারে জিতে নেন সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। ‘ক্লাউড এটলাস’ ও ‘দ্য কল’ ছবি দুটিতেও হ্যালি ব্যারির অভিনয় মনে রাখার মতো।

ডেনিস রিচার্ডস
ডেনিস রিচার্ডস

ডেনিস রিচার্ডস
১৯৯৯ সালে বন্ড সিরিজের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ ছবিতে ডেনিস রিচার্ডস ক্রিসমাস জোনসের চরিত্রে অভিনয় করেন। চার্লি শিনের স্ত্রী হিসেবে নয়, নিজের নামে নিজেকে পরিচিত করিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ‘আনকভার্ড ব্রাদার’, ‘ব্লু মাউন্টেইন স্টেট’, ‘ভ্যালেন্টাইন’ ছাড়াও জনপ্রিয় মার্কিন সিরিজ ‘দ্য রিয়েল হাউসওয়াইভস অব বেভারলি হিলস’ তাঁকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

ইভা গ্রিন
ইভা গ্রিন

ইভা গ্রিন
বন্ডগার্ল হওয়ার আগে থেকে ফ্রান্সের বড় তারকা ইভা গ্রিন। বন্ড সিরিজের ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’ ছবিতে ভ্যাসপার লেন্ড চরিত্রটি তাঁকে করে তুলেছিল সারা পৃথিবীর কাছে জনপ্রিয়। এখানে অভিনয় করে তিনি এম্পায়ার ম্যাগাজিনে সেরা ১০০ আবেদনময়ী নারীর তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। এই আবেদনময়ী বন্ডগার্লকে পরে ডাইনির ভূমিকায় দেখা যায় টিম বার্টনের ‘ডার্ক শ্যাডোস’ ছবিতে।

জেমা আর্টারটন
জেমা আর্টারটন

জেমা আর্টারটন
স্ট্রবেরি ফিল্ডস নামের এক গুপ্তচর হিসেবে ‘কোয়ান্টাম অব সোলেস’ ছবিতে অভিনয় করেন জেমা। এ চরিত্রের জন্য সেরা নবাগত বিভাগে এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এই ছবি মুক্তির পর একে একে জেমা আর্টারটন ‘ক্লাস অব দ্য টাইটানস’, ‘প্রিন্স অব পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস অব টাইম’, ‘বাইজানটাম’ এবং ‘হান্সেল অ্যান্ড গ্রেটেল: উইচ হান্টার্স’-এ দুর্দান্ত অভিনয় করেন।

সোফি মাসায়
সোফি মাসায়

সোফি মাসায়
ফরাসি অভিনেত্রী, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং লেখক সোফি মাসায় বন্ড সিরিজের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’ ছবির মধ্য দিয়ে মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে প্রথমবারের মতো সাফল্য লাভ করেন। তা ছাড়া খুনের কাহিনি নিয়ে ‘ট্রিভিয়াল’, ‘ডোন্ট লুক ব্যাক’ ছবিতে একাকী মা কিংবা মনিকা বেলুচ্চির সঙ্গে একই ছবিতে দুই সন্তানের মায়ের চরিত্র অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি বড় পর্দায় অভিনেত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।

শার্লি ইটন
শার্লি ইটন

শার্লি ইটন
১৯৬৪ সালে বন্ড সিরিজের ‘গোল্ডফিঙ্গার’ ছবিটিকে অনেকেই সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মনে করেন। সেই ছবিতে নগ্ন শার্লি ইটনের শরীর মুড়ে দেওয়া হয় সোনায়। চামড়ার বদলে যেন সোনায় গড়া দেহ তাঁর। অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা পায় সেই দৃশ্যটি। তাঁর সেই চরিত্রের নাম ছিল জিল মাস্টারসন। এরপর ‘দ্য ন্যাকেড ব্রিজ’, ‘টেন লিটল ইন্ডিয়ানস’, ‘দ্য গার্ল ফর্ম রিও’ ছবিগুলোতে বেশ দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

জোয়ানা লামলে
জোয়ানা লামলে

জোয়ানা লামলে
জোয়ানা লামলে যে একজন বন্ডগার্ল, তা হয়তো কেউ মনেই রাখেননি। ‘অন হার ম্যাজেস্টি সিক্রেট সার্ভিস’ সিনেমায় তাঁকেও দেখা যায় একজন ইংরেজ নারীর ভূমিকায়। যদিও তাঁর চরিত্রের কোনো নাম ছিল না। পরে এ বন্ডগার্লকে দেখা যায় ব্রিটিশ টিভি সিরিজ ‘দ্য নিউ অ্যাভেঞ্জার্স’ এবং ‘স্যাফায়ার অ্যান্ড স্টিল’-এ। তা ছাড়া ‘অ্যাবসলিউটলি ফ্যাবুলাস’ ছবিতে প্যাটসি স্টোন চরিত্রের জন্যও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান।

রোজামন্ড পাইক
রোজামন্ড পাইক

রোজামন্ড পাইক
‘ডাই অ্যানাদার ডে’ ছবিতে বন্ডগার্ল মিরান্ডা ফ্রস্ট চরিত্রে অভিনয় করে রোজামন্ড পাইক প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি লাভ করেন। পরে ‘দ্য লিবারটিন’ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে ব্রিটিশ ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম পুরস্কার পান। তা ছাড়া ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডিস’ ছবিতে জেন বেনেট চরিত্রের জন্যও দর্শক তাঁকে মনে রাখবেন অনেক দিন। তবে মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ‘গন গার্ল’-এর জন্য রোজামন্ড পাইককে মনে রাখতেই হবে। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার, স্যাটার্ন পুরস্কার, বাফটা, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

লানা উড
লানা উড

লানা উড
আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক লানা উড ২০টির বেশি চলচ্চিত্রে এবং অসংখ্য টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন। ১৯৭১ সালে বন্ড সিরিজের ‘ডায়মন্ডস আর ফরেভার’ ছবিতে কাজ না করলে অবশ্য এত কিছু করা হতো কি না বলা মুশকিল। এখানে বন্ডগার্ল প্লেন্টি ওটুলে চরিত্র দিয়েই তো প্রথম নিজের অভিনয় প্রতিভা মেলে ধরেন। ‘দ্য ফিউজিটিভ’, ‘মিশন ইমপসিবল’, ‘ক্যাপিটেল’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা টু: ডেথ টু সুন’, ‘স্পিডট্রাপ’ এবং ১৯৮২ সালে তাঁর এখন পর্যন্ত সর্বশেষ অভিনীত ছবি ‘শাতানস মিসট্রেস’ লানা উডের ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

জিল সেন্ট জন
জিল সেন্ট জন

জিল সেন্ট জন
আমেরিকান এই অভিনেত্রী ১৯৪৯ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে রেডিওতে অভিনয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের বন্ড ছবি ‘ডায়মন্ডস আর ফরেভার’-এ টিফ্যানি কেসের ভূমিকায় অভিনয়ের আগে পর্যন্ত পৃথিবী টের পায়নি তাঁর অভিনয়প্রতিভা। পরে ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ’, ‘সামথিং টু বিলিভ ইন’, ‘ম্যাগনাম পি আই’ ছবিগুলো তাঁকে অমরত্ব দেয়।

জেন সেমোর
জেন সেমোর

জেন সেমোর
বন্ড সিরিজের ‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই’ ছবিতে ট্যারোট কার্ড রিডার এবং আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হন জেন সিমোর। এমি এবং গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড জয়ী এ অভিনেত্রী ‘সামহোয়্যার ইন টাইম’, ‘ইস্ট অব ইডেন’, ‘ওয়্যার অ্যান্ড রিমেম্বারেন্স’, ‘ওয়েডিং ক্রাশার্স’ বা ‘মেডিসিন উইম্যান’-এ মতো ব্যবসাসফল এবং দর্শকনন্দিত ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তিনি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ অ্যাম্পায়্যারের কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন।

ইভানা মিলিসিভিক
ইভানা মিলিসিভিক

ইভানা মিলিসিভিক
২০০৬ সালের বন্ড সিরিজের সিনেমা ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’-এর মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ইভানা মিলিসিভিকের। এর আগে টিভিতে অতিথি চরিত্র ও ছোটখাটো অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাঁকে। বন্ডগার্ল হওয়ার পর ‘আগলি বেটি’ ছবিতে করেন লিনার চরিত্র। এ ছাড়া ‘হাউস’, ‘ফ্রেন্ডস’, ‘হাওয়াই ফাইভ জিরো’র মতো টিভি শো এবং ‘দ্য মাইন্ড অব দ্য ম্যারিড ম্যান’-এর মতো এইচবিও চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিজেও দেখা যায় তাঁকে।

গ্রেস জোনস
গ্রেস জোনস

গ্রেস জোনস
১৯৮৫ সালের ছবি ‘আ ভিউ টু কিল’-এ তিনি মে ডচে নামে একজন বন্ডগার্লের ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি বন্ডগার্ল হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এরপরই তিনি সাফল্যের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী ও সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। ‘ভ্যাম্প’, ‘সাইবার ব্যান্ডিটস’, ‘উলফ গার্ল’, ‘বিটমাস্টার’ এবং ‘চেলসি অন রকস’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি রয়েছে এই গুণী শিল্পীর ঝুলিতে।

মার্গারেট নোলান
মার্গারেট নোলান

মার্গারেট নোলান
‘গোল্ডফিঙ্গার’ ছবিতে মার্গারেট নোলানকে ডিঙ্ক নামের একটি চরিত্রে দেখা যায়। চরিত্রটুকু ছোট্ট। তবে সমাদৃত হয়েছিল ব্যাপকভাবে। সেটাই অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে তাঁকে সহযোগিতা করে। এরপর তিনি ‘প্লেবয়’, ‘ক্যারি অন গার্লস’, ‘দ্য সুইনি’ এবং ‘পাওয়ার অব থ্রি’ মতো চলচ্চিত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পান। এ ছাড়া ‘থ্রি রুমস ইন ম্যানহাটন’, ‘ক্যারি অন কাউবয়’, ‘টুমরো’ এবং ‘স্কাই ব্যানডিটস’-এও দেখা যায় তাঁকে।

ইউনেস গেসন
ইউনেস গেসন

ইউনেস গেসন
বন্ড সিরিজের প্রথম দুটি ছবি ‘ডক্টর নো’ এবং ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’-এর কথা মনে পড়ে? এ ছবি দুটিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ইউনেস গেসনই প্রথম বন্ডগার্ল। ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ ছবিতে তিনি শন কনারির প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেন। এ দুটি চলচ্চিত্রই তাঁকে খ্যাতির শিখরে নিয়ে যায়। ২০১৮ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান গেসন।